স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ২৯ জুন, ২০২১ at ৭:০৭ অপরাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে জখম করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে একদিনের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করল এক দম্পতি।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ওমর শরীফ মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৮ জুন) সকালে একই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন স্ত্রী পেয়ারা বেগম। বাংলানিউজ
চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, “ওমর শরীফ নামে এক ব্যক্তি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার পর বিষপান করে এবং নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। পরে হালিশহর টোল রোড ফিলিং স্টেশন এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে হালিশহর থানা পুলিশ।”
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “গত রোববার রাতে হালিশহর টোল রোড ফিলিং স্টেশনে বিষপান করে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওমর শরীফ। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।”
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকাল ৮টার দিকে ওমর শরীফ সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়ায় গিয়ে স্ত্রীকে সংসার করতে চাপাচাপি করেন কিন্তু স্ত্রী পেয়ারা বেগম সম্পর্ক রাখবেন না জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওমর স্ত্রীর পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তিনি পালিয়ে যান।
পরে প্রতিবেশীরা পেয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতে তার অপারেশন হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকাল ৭টায় তার মৃত্যু হয়। ওমর শরীফ ও পেয়ারা বেগমের সংসারে দুই মেয়ে আছে। বড় মেয়ের বয়স ৮ বছর ও ছোট মেয়ের বয়স ৫ বছর। গত ১৭ দিন আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, “তালাকনামা পেয়ে ক্ষুব্ধ ওমর শরীফ গত রোববার সকালে পেয়ারা বেগমের বাবার বাড়িতে যান। এসময় দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওমর শরীফ তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ওইদিন ওমর শরীফের বিরুদ্ধে পেয়ারা বেগমের ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।”
সুমন বণিক আরও বলেন, “ওমর শরীফ বিষপান ও ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন যে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। হাসপাতালে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন তিনি।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুনতিতে বস্তা মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি থাকবে ডিসির জিম্মায়