হাঙ্গরখালে ড্রেজার মেশিনে চলছে বালু উত্তোলন

ভাঙন আতংকে খালপাড়ের মানুষ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ জুন, ২০২১ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার পদুয়া ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ‘অবৈধ’ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নাওঘাটা মাঝের দোকান এলাকায় হাঙ্গরখালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গতকাল রোববার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলেন করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে একটি মহল মাঝের এলাকায় হাঙ্গর খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে খালের তীরের চলাচলের রাস্তা ও খাল পাড়ের মানুষ হুমকির মুখে পড়েছে। বালুবাহী ডাম্পট্রাক চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে এলাকার কেউ সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাঙ্গরখাল থেকে বালু তুলে আলমগীর মেম্বারের বাড়ির পাশে খালি জায়গায় জমা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের দুইপাড় ভেঙে গেছে। বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে ধসে যেতে পারে হাঙ্গর খালের উপর চলাচলের ব্রিজটিও। বর্ষণে খালের পানি বেড়ে যাওয়ায় বসতভিটা ভাঙন আতংকে দিনাতিপাত করছেন খালপাড়ের লোকজন।
স্থানীয় জানে আলম সিকদার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ‘অবৈধ’ বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙে গেছে খালের দুই পাড় ও চলাচলের রাস্তা। খালপাড়ের অব্যাহত ভাঙনে হাতিয়া পাড়া, চান্দার পাড়া, সৈয়দ পাড়া, বেইল্যার পাড়া, আজনী বর পাড়ার প্রায় ৪ হাজার মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছে। হাঙ্গরখাল ঘেঁষা সড়কটি মাঝের দোকান থেকে হানিফার চর পর্যন্ত বিস্তৃত। ইতোমধ্যে চলাচলের রাস্তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বিলীন হয়ে যেতে পারে রাস্তাটি। বন্ধ হয়ে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিঃস্ব হবে খালপাড়ের মানুষ।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘ইউএনও সাহেব বলেছেন, তাই বালু উত্তোলন করছি। তিনি নিষেধ করলে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।’ বালু উত্তোলনের ব্যাপারে এর চেয়ে বেশি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এ ইউপি সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু বলেন, ‘পদুয়া ইউনিয়নের নাওঘাটা মাঝের দোকান এলাকায় হাঙ্গরখাল থেকে বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ এছাড়া বালু উত্তোলনের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ইউএনও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমার থেকে নাফ সাঁতরে হাতি এল বাংলাদেশে
পরবর্তী নিবন্ধইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ