টেক্সি চালকের ছুরিকাঘাতে মাছ বিক্রেতা খুন

ডবলমুরিংয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৬ জুন, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ডবলমুরিংয়ের বেপারিপাড়া মোড়ে তুচ্ছ ঘটনার জেরে জসিম উদ্দিন নামের এক টেক্সিচালকের হাতে মো. হারিছ নামের এক মাছ বিক্রেতা খুন হয়েছে। খুনের শিকার মো. হারিছ (২৫) বেপারিপাড়া মোড়ের মো. বাবুল হোসেন নামের একজনের দোকানে মাছ বিক্রি করতো। বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে সে। বেপারিপাড়ার পার্শ্ববর্তী পানওয়ালা পাড়া এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতো। গতকাল শুক্রবার সন্ধা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতকারী জসিমকে স্থানীয়রা ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। জসিম উদ্দিন (৩৫) বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার আমিন শরীফ পাড়ার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন, ছুরি হাতে জসিম এক মোটরসাইকেল চালককে মারতে গেলে বাধা দেন হারিছ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হারিছকে ছুরিকাঘাত করে জসিম। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় জসিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ডবলমুরিং থানার এসআই অপু। তিনি আজাদীকে বলেন, আমি পানওয়ালা পাড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলাম। খবর পেয়ে বেপারিপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখি জসিমকে লোকজন মারধর করছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে কথা হয় খুনের শিকার হারিছের ছোট ভাই মো. হাসানের সাথে। তার কাছ থেকে জানা যায়, হারিছরা ৬ ভাই। সে চার নম্বর। বিয়ে করেছে দুটি। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী মিম কুমিল্লার বাসিন্দা। এ ঘরে হাবিব নামের তার ৪ বছর বয়সী একজন সন্তান রয়েছে। সে মাদ্রাসায় পড়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী খুলসুম। তাদের বিয়ে হয়েছে এক বছর আগে। তাকে নিয়ে হারিছ আলাদা থাকতেন। এ ঘরে কোনো সন্তান হয়নি। কারো সাথে হারিছের বিরোধ ছিল না। হারিছ যে দোকানে মাছ বিক্রি করতো সে দোকানের মালিক মো. বাবুল হোসেন আজাদীকে বলেন, হারিছ শান্ত প্রকৃতির লোক ছিল। দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরিতে সে আমার দোকানে কাজ করতো। কাজে ফাঁকি দিতো না সে। সকাল-সন্ধা দুই শিফট সে দোকানে কাজ করতো। গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে সে আমার দোকানে কাজ করছে। আগে টিএন্ডটি বাজারে অপর একটি দোকানে সে কাজ করতো। সেখানেও সে মাছ বিক্রি করতো।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ছুরিকাঘাতকারী জসিম পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রায় ৬ মাস ধরে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ নেই। তার পরিবারের ভাষ্য মতে, সে নগরীতে টেক্সি চালায়। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতের শিকার ও ছুরিকাঘাতকারী দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছুরিকাঘাতের শিকার যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ছুরিকাঘাতকারীকে লোকজন গণপিটুনি দিলে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাকে মেডিকেলের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ২৯ জুন