সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। ৬ টি ফেরি থাকলেও সচল কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট। এই পথে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। ৬ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এম.ভি.আইভি রহমান নামে একটি নতুন জাহাজ উদ্বোধন করলেও ১৯ জুন থেকে সেটি চলাচল শুরু করে। যেহেতু জাহাজ কূলে এসে জেটির সাথে ভিড়তে পারে না, সেহেতু জাহাজে উঠতে নামতে ব্যবহার হয় অবৈধ লালবোট। আর এই লালবোটে চলে বকশিশের নামে চাঁদাবাজি। দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপের মানুষকে জিম্মি করে চলে আসছে এসব কর্মকান্ড। দুইপাড়ে ১০ টাকা করে ২০ টাকা দিতে হয় তাদের। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ যাত্রী থেকে ২০ টাকা করে নিলে ১০০০০ টাকা মিলে। কেউ না দিতে চাইলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করে লালবোটে থাকা কর্মচারীরা। জাহাজ থেকে কূলে ফেরার পথটি স্বল্প সময়ের দূরত্বে হলেও টাকা আদায় করতে লাল বোটের কর্মচারীরা সময় ক্ষেপন করতে দেখা যায়, এতে করে উপকূলের খরস্রোতা ঢেউয়ের আঘাতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহু গুণে। ২০১৭ সালের লালবোট ট্রাজেডির অন্যতম কারণ হিসেবে এমন চিত্রটিকে চিহ্নিত করা হয়। দেখা যায় বিভিন্ন সময় ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। শুধু তাই নই, বকশিশ দেওয়ার পরও কোমর পরিমাণ পানিতে নামিয়ে দেয় যাত্রীদের। ২০১৭ সালে এই অবৈধ লালবোটের কারণে ১৮ টি তাজা প্রাণ নিভে যায়। এদিকে টিকেটের সাথে লালবোটের ভাড়া যোগ করে ১২০ টাকা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরপরেও দ্বীপবাসীকে প্রতিনিয়ত চাঁদা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নতুন জাহাজ আসলেও উঠানামার কোনো অগ্রগতি হয়নি। দ্বীপের বাসিন্দারা নিরুপায় হয়ে চলাচল করতে হয় অবৈধ লালবোট দিয়ে। নতুন জেটি এবং নতুন জাহাজের মাঝখানের পথটা যদি নিরাপদ করা যায় তাহলে দ্বীপবাসী সুফল পাবে। নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে যারা আছেন আশা করি অচিরেই এর একটা স্থায়ী সমাধান দিবেন।
জিসান মাহমুদ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম