যমুনা অয়েলের চার কর্মকর্তাকে আজ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

আবদুল্লাহ রশীদের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২২ জুন, ২০২১ at ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

যমুনা অয়েলের চার কর্মকর্তাকে আজ মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যমুনা অয়েলের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক (কেমিক্যাল) আবদুল্লাহ রশিদ ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে এর আগে দায়েরকৃত মামলায় এসব কর্মকর্তাদের আগ্রাবাদ যমুনা অয়েলের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদকের একটি সূত্র। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়া কর্মকর্তারা হলেন, যমুনা অয়েলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সেলস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন) নজমুল ইসলাম, ঘটনার সময়ে তিনি ফতুল্লা ডিপোর ম্যানেজার ছিলেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (লিগ্যাল এন্ড স্টেট) নজরুল ইসলাম, ঘটনার সময়ে তিনি দৌলতপুর ডিপোতে ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (রিটেল এন্ড সেল্‌স) মজিবুর রহমান, ঘটনার সময়ে তিনি ভৈরব ডিপোর ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। তাছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উপ-মহাব্যবস্থাপক জিএএ মুঈদকে নোটিশ দেওয়া হয়। দুদক ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (কেমিক্যাল) মো. আবদুল্লাহ রশিদ ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। দুই মামলাতেই আবদুল্লাহ রশিদকে আসামি করা হয়েছে। তার স্ত্রী শামিমা আক্তারকে একটি মামলা আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আবদুল্লাহ রশিদ দুদকে দাখিল করা তার সম্পদ বিবরণীতে ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া ৯ লাখ তিন হাজার ৯২৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য উঠে আসে দুদকের অনুসন্ধানে। দুদকের অনুসন্ধানে ওই অবৈধ সম্পদ ছাড়াও আবদুল্লাহ রশিদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ২৯টি এফডিআর ও আটটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ টাকা জমা থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭ কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৫২ টাকার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে আবদুল্লাহ রশিদসহ ও তার স্ত্রী শামিমা আক্তারকে আসামি করে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, শামিমা ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৫১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তাছাড়া তার মোট ১২ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ১১৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ অনুসন্ধানে উঠে আসে। তাছাড়া সম্পদ বিবরণীর বাইরে তার নামে তিন ব্যাংকে এফডিআর ও সঞ্চয়ী হিসাবে তিন কোটি ৯০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬ টাকা রয়েছে, যেগুলো বৈধ কোন উৎস তিনি দেখাতে পারেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। আর স্ত্রীর নামের এসব সম্পদ অর্জনে আবদুল্লাহ রশিদ সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিধবা মহিলাকে নিষ্ঠা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানের মানুষ এখন রাজশাহীর আম লিচুর জন্য অপেক্ষা করে না