চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা রয়েছে ১২৮ জন ও উপজেলার ৬২ জন। ফলে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়াল ৫৬ হাজার (৫৬ হাজার ১৭১ জন)। এর মধ্যে নগরীর ৪৪ হাজার ২২৮ জন ও উপজেলার ১১ হাজার ৯৪৩ জন। এদিকে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন নগরীর ও দুইজন উপজেলার বাসিন্দা। গত বছরের ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৪৬২ জন ও উপজেলার ১৯৯ জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৭দিনে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার জন। এর আগে ১৩ জুন আট দিনে এক হাজার পূর্ণ হয়। ২৮ মে ও ৫ জুন দু’বারই ৯ দিনে এক হাজার পূর্ণ হয়। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ১৬ দিনে ১ হাজার পূর্ণ হয় ৩১ জানুয়ারি। সর্বনিম্ন দুই দিনে এক হাজার পূর্ণ হয় ১৪ এপ্রিল।
নগরীর দশটি ও কঙবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৯৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন এ ১৯০ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২৮ জন ও বারো উপজেলার ৬২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ২১, হাটহাজারীতে ১৫, সীতাকুণ্ডে ৯, মীরসরাই ও রাউজানে ৪ জন করে, বাঁশখালীতে ৩ জন এবং লোহাগাড়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, এ মাসের প্রথম ২০ দিনে চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ জন মারা যায় ১৭ জুন। ৩ জন করে মারা যায় পাঁচদিন। মৃত্যুশূন্য ছিল তিনদিন। করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১৩ জুন, ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এদিন মাসের সর্বোচ্চ ২২৫ জনের নমুনায় জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। গত শুক্রবারের সংক্রমণ হার এ মাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। একদিনে সবচেয়ে কম আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ জুন, ৬০ জন। সংক্রমণ হার ছিল ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। মাসের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১২ জুন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।












