প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘আশ্রয়ন প্রকল্পের’ দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘরের চাবি প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় বরাদ্দ প্রাপ্তদের মাঝে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ঘরের চাবি তুলে দেন।
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপকারভোগীদের মাঝে মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে দুইশতক জমিসহ ঘরের কবুলিয়তনামা হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ । এরআগে গণবভন থেকে রাঙ্গুনিয়ায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের দুইশতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাউজান প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার রাউজানের গৃহ ও ভূমিহীন ২৪০ পরিবারকে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে সারাদেশ গৃহহীনদের যে ঘর দেয়া হচ্ছে সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাউজানে এই ঘর বুঝে নিয়েছে গৃহহীনরা। সকাল দশটায় ভার্চুয়ালি বঙ্গভবন থেকে গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে যুক্ত ছিলেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তার পক্ষে সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন রেলপথ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংসদের সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ দর্শী চাকমা, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ প্রমুখ।
হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৬ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ঘর পেয়েছে। উপজেলার গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসব ঘর নির্মিত হয়। তালিকাভুক্ত অসহায় পরিবারের মধ্যে এসব ঘরের দলিল, খতিয়ান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গতকাল রোববার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সাবেক মন্ত্রী ও হাটহাজারী সংসদীয় আসনের এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের মালিকদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দলিল খতিয়ান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহদাত হোসেন, প্রমুখ।
বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার ৪০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের কাছে গতকাল দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ধাপের ২৬টি সহ দ্বিতীয় ধাপের ১৪টি মিলিয়ে মোট ৪০টি ঘর গতকাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনের পর উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও প্রয়োজনীয় দলির-দস্তাবেজ হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর পেল ১৯৬৩টি গৃহহীন পরিবার। গতকাল সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির উপজেলা সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে নবনির্মিত ঘর প্রদানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের (দ্বিতীয় পর্যায়) আওতায় সদর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও বন্দোবস্তকৃত জমির দলিল হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান শানের আলম, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা মতিন প্রমুখ।
আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, আনোয়ারায় ২৫ পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ২৫ গৃহহীন ও ভূমিহীনের কাছে চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. ইয়াছিন হিরু ও এম এ কাইয়ুম শাহ।
চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন ৫১ পরিবার পেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ২ শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর। জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ২য় পর্যায়ে গতকাল রবিবার সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩শ ৪০টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চন্দনাইশ উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন ৫১টি পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের কাছে ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। গৃহহীনদের ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন।
বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত ১ম ও ২য় পর্যায়ে মোট ৪৭টি ঘরের ভূমির খতিয়ান ও ঘরের সনদ গৃহহীন পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গতকাল বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চত্বরে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির দলিল ২য় পর্যায় গণভবন থেকে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমদ। বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী প্রমুখ।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের গরীব মেহনতী মানুষের কল্যাণে স্বপ্ন দেখতেন। তাদের নিয়ে ভাবতেন। আর এ স্বপ্নগুলো একে একে বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামাত দরিদ্রদের নিয়ে কোন কাজ করেনি। তারা যখই ক্ষমতা পেয়েছে লুটে পুটে খেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব বান্ধব সরকার। তাই গৃহহীনদের ভুমি ও গৃহদিয়ে পুনর্বাসন করে তিনি যে নজীর স্থাপন করেছে তা বিশ্বে ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি রবিবার দুপুরে উপজেলা মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম ২য় পর্যায় এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা’র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, সহকারী কমিশনার ভুমি নিলুফার ইয়াছমিন, হুইপের সহকারী একান্ত সচিব হাবিবুল হক চৌধুরী, পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির।
এদিকে, সারাদেশের ন্যায় লোহাগাড়ায়ও ১৭০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও সরকারি জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে লোহাগাড়া উপজেলা পাবলিক হলে এক আলোচনা সভা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রমুখ।
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি জানান, উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও সনদ হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার উপজেলা হলরুমে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপকারভোগীদের মাঝে নবনির্মিত ঘরের উদ্বোধন করার পর সনদ ও চাবি তুলে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান মংওয়ালাই মার্মা প্রমুখ।
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের আট উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০১৮ ভূমিহীন ও গৃহহারা পরিবার মুজিববর্ষের ঘর পেলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা ঘর প্রাপ্তদের কাছে চাবি তুলে দেন। গণভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাথে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
চকরিয়া প্রতিনিধি জানান, দুইদফায় চকরিয়ায় ৩৮০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দেওয়া হয়েছে জায়গাসহ নতুন বাড়ি। দ্বিতীয়দফায় গতকাল রবিবার নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন হতদরিদ্র ৩০০ ভূমিহীন পরিবার। এর আগে প্রথমদফায় ৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয় নতুন বাড়ি প্রদানের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধনের পর চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের ৩০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুই শতাংশ জমির কবুলিয়ত দলিল, সৃজিত খতিয়ান ও নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে নতুন বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু ও জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের প্রমুখ।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, প্রথম পর্যায়ে রাজস্থলী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১৭৭টি পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উচসিন মারমা, রাজস্থলী থানার অফিসার ইনচার্জ মফজল আহম্মদ খাঁন প্রমুখ।