তৃণমূল নেতাকর্মীরা যা বললেন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ জুন, ২০২১ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নগরীর স্ব স্ব আসনের সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকে তৃণমূল নেতারা-দলের মধ্যে হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ, চসিক নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নগরীর থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা এই দাবি জানান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসীম বলেছেন, ওয়ার্ড সম্মেলন করতে হবে। সম্মেলনে বহিরাগত কাউকে আনা যাবে। এই ওয়ার্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার মোরর্শেদ কচি বহিরাগত। তিনি এই ওয়ার্ডের নন। সম্মেলনে ও (সরোয়ার মোর্শেদ কচি) যেন আসতে না পারেন।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবসার মিয়া বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা চসিক নির্বাচনে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমাকে জাতীয়তা সনদ, ওয়ারিশান সনদ দিচ্ছেন না।
১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে তার বক্তব্যে বলেন, যারা চসিক নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা শুনেছিলাম। এখন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে-আমরা জানতে চাই। আমার ওয়ার্ডে দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। একজন সাবের আহমদ সওদাগর এবং অপরজন অধ্যাপক আসলাম। এই প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের দলের কোনো পদে রাখা যাবে না।
আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মূল সংগঠন দলের গঠনতন্ত্রকে যেন অনুসরণ করে চলে। দলের তৃণমূলকে যেন শক্তিশালী করা হয়। সরকারি সকল উন্নয়ন কাজে এমপিরা যেন মহানগর আওয়ামী লীগসহ দলের তৃণমূলকে সম্পৃক্ত করেন।
বৈঠকে ১০ নম্বর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং নগর আওয়ামী লীগের কার্যকারী সদস্য ড. নেছার আহমদ মঞ্জু বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাথে সমন্বয় করে এমপিদের কাজ করতে হবে। ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সরওয়ার্দী বৈঠকে বলেছেন, আমাদের ওয়ার্ডটি নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে আমরা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরেও সারা বছর প্রচুর সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে থাকি। করোনাকালীন আমরা পুরো ওয়ার্ডে ত্রাণ বিতরণ করেছি। মাস্ক বিতরণ করেছি। রমজানে ইফতার সামগ্রী দিয়েছি। আমাদের ওয়ার্ডে কোনো বিভেদ-বিরোধ নেই। সাংগঠনিক অবস্থা ভালো।
সার্কিট হাউজের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এম.পি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারা তো করে গেছে লুটপাটের রাজনীতি : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধনেতাকর্মীর সাথে এমপিদের মিলেমিশে কাজ করার তাগিদ