সরফভাটা আমান আলী সড়ক বেহাল

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ জুন, ২০২১ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

একটি ব্রিজের কারণে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ আমান আলী সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। মূল সড়ক থেকে কয়েক ফুট উচ্চতায় এটি নির্মিত হলেও সেই অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে সংস্কার করা হয়নি। এতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অন্যদিকে মাত্র চার বছর আগে নির্মিত এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটিরও এখন বেহাল দশা। এতে এই সড়ক পথে যাতায়াতে এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে সড়কটি সংস্কারে নতুন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর থেকে পূর্ব সরফভাটা পর্যন্ত আমান আলী-১ সড়কটির অবস্থান। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার চার ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্যও এই সড়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। গত চার বছর আগে কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি পিচ ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের অল্পসময়ের মধ্যেই সড়কটির বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে তীব্র খানাখন্দে চলাচলে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সড়কের হাজী অছি মিঞা সওদাগর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। এতে জনদুর্ভোগ লাঘব হওয়ার পরিবর্তে এই ব্রীজটি এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়ক থেকে ব্রীজটি অতিরিক্ত উঁচু করে নির্মাণ করা হলেও সেই অনুযায়ী দুই পাশে সমান করা হয়নি। এতে এই ব্রীজ পাড় হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় হাশেম রাসেল নামে এক যুবক বলেন, একদিকে সড়কের বেহাল দশা, অন্যদিকে অতিউচ্চতায় নির্মিত ব্রীজের কারণে এই সড়ক যেনো জনদুর্ভোগের আরেক নাম। প্রায় দেখি ব্রীজে উঠতে গিয়ে যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। ব্রীজ থেকে গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে যেকোনসময় প্রাণহানিরও আশংকা রয়েছে। তাই সড়কটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’ এই ব্যাপারে সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়কটির উন্নয়ন বলতে একসময় কিছুই ছিলো না। তবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত ধরে এলজিইডি’র বৃহত্তর চট্টগ্রাম-২ প্রকল্পের আওতায় গত চার বছর আগে এটি পিচ ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছিল এবং একটি পিআইও ব্রীজও নির্মাণ করা হয়। তবে সড়কের তুলনায় অতিভারী যানবাহন এবং অতিবৃষ্টিতে সম্প্রতি এটি আবারও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এটি সংস্কারে এলজিইডি’র ‘আম্পান’ প্রকল্পে এটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং প্রকল্প পাসও হয়েছে। খুব দ্রুত এটি টেন্ডার প্রক্রিয়ার সাহায্যে উন্নয়ন করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলেই ভারতীয় ধরন পাওয়া যাচ্ছে : ডা. মুশতাক
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস