রবীন্দ্র সমকালীন কবিদের মধ্যে যাঁরা নিজস্ব ধারায় বিশিষ্টতা অর্জন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অক্ষয়কুমার বড়াল অন্যতম প্রধান কবি। কল্পনাপ্রবণ ও সৌন্দর্যপিয়াসী কবির রচনায় ব্যক্তিগত জীবনবোধ আর প্রেম যেমনভাবে এসেছে, পাশাপাশি প্রকাশ পেয়েছে বেদনাভারে আচ্ছন্নতাও। আজ কবির ১০১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
কলকাতার চোরাবাগানে ১৮৬০ সালে অক্ষয়কুমার বড়ালের জন্ম। শৈশবে হেয়ার স্কুলের ছাত্র ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে এটুকুই। হেয়ার স্কুলের পাঠ সম্পূর্ণ হবার আগেই তিনি স্কুল ছাড়েন। ছাত্র জীবন থেকে ছিলেন কাব্যানুরাগী। বিহারীলাল চক্রবর্তীর ভাবশিষ্য কবি ছিলেন তিনি। ছাত্রজীবন বিহারীলালের কাছে কাব্যদীক্ষা নেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে মর্মাহত কবি তাঁর স্মৃতি নিয়ে রচনা করেন কাব্যগ্রন্থ ‘এষা’।
গ্রন্থটি ক্লাসিক রচনার মর্যাদা লাভ করে। তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ‘প্রদীপ’, ‘কনকাঞ্জলি’, ‘ভুল’, ‘শঙ্খ’ ইত্যাদি। প্রেম, সৌন্দর্যমুগ্ধতা, কল্পনাবিলাসিতা আর বেদনার ছায়াপাত অক্ষয়কুমারের রচনারীতির বৈশিষ্ট্য। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি কাজ করেছেন ব্যাংক ও জীবনবীমা কোম্পানিতে। ১৯১৯ সালের ১৯ জুন প্রয়াত হন কবি অক্ষয়কুমার বড়াল।