জুম্‌’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি

| শুক্রবার , ১৮ জুন, ২০২১ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

ক্বাবা শরীফ নির্মাণের ইতিহাস

সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন! জেনে রাখুন ক্বাবা শরীফ বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র ও বরকত মণ্ডিত স্থান। ভূপৃষ্ঠে নির্মিত আল্লাহর প্রথম ঘর যেটিকে মহান আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় হাবীবের হিজরতের ১৭ মাস পর মুসলমানদের কিবলা হিসেবে ঘোষণা করেন। যেটাকে মুসলমানরা ক্বাবা শরীফ হিসেবে মনে প্রাণে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। যে ক্বাবার দিকে মুসলমানরা নামায আদায় করেন। যে ক্বাবা শরীফকে কেন্দ্র করে বিশ্বের মুসলমানরা হজ্বব্রত ও ওমরা পালনকালে তাওয়াফ করে থাকেন।
পবিত্র কুরআনের আলোকে ক্বাবা শরীফের মর্যাদা
বিশ্ব মুসলিমের ঈমান, ইসলাম ও হিদায়তের প্রাণ কেন্দ্র পবিত্র ক্বাবা শরীফ এর প্রতি মুসলিম উম্মাহর অকৃত্রিম ভালবাসা সম্মান ও মর্যাদা প্রতিটি মুসলিমের অন্তরের গভীরে প্রোথিত। এটি পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থিত। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ পবিত্র ঘরের মর্যাদা প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, আমি এ নগরীর প্রভুর ইবাদত করতে আদিষ্ট হয়েছি। যেটিকে তিনি সম্মানিত করেছেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, বস্তুত তাঁরই জন্য সবকিছু। আর আমাকে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সূরা: নামল, আয়াত: ৯১)
মক্কানগরী “বালাদিল আমীন” তথা শান্তির নগরী
হযরত ইবরাহীম (আ:) পবিত্র মক্কা নগরীকে “বালাদিল আমীন” তথা শান্তির নগরী করার জন্য আল্লাহর দরবারে এ মর্মে প্রার্থনা করেছিলেন, “স্মরণ করুন, যখন ইবরাহীম বলল, হে প্রভূ এ স্থানটিকে শান্তির নগরী বানিয়ে দিন, আর ফলমূল দিয়ে এখানে অবস্থানকারীদের রিযিকের ব্যবস্থা করে দিন। (সূরা: বাক্বারা, আয়াত: ১২৬)
ক্বাবা গৃহে প্রবেশকারীর নিরাপত্তা
বায়তুল্লাহ তথা আল্লাহর ঘর ক্বাবা শরীফের অসংখ্য বৈশিষ্ট রয়েছে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আর যে লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে সে নিরাপত্তা লাভ করেছে।” (সূরা: আল ইমরান, আয়াত: ৯৭)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে এ প্রসঙ্গে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি কোন অপরাধ করে বায়তুল্লাহতে আশ্রয় গ্রহণ করবে। সে নিরাপদ হয়ে যায় তাকে সেখানে শাস্তি দেয়া যাবেনা বরং হেরম থেকে বের হওয়ার পর তাকে দন্ডবিধি কার্যকর করা হবে। (তারিখে মক্কা মুকাররমা, পৃ: ২১)
এমনকি কোনো ব্যক্তি কাউকে খুন করে জগন্য অপরাধ করার পরও ক্বাবা শরীফে আশ্রয় নিলে তার থেকে ভেতরে প্রতিশোধ নেয়া যাবেনা। ৮ম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের সময় যারা হেরমে আশ্রয় নিয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন।
হাদীস শরীফের আলোকে বায়তুল্লাহর মর্যাদা
বরকতময় গৃহ ক্বাবা শরীফ এতই মর্যাদাপূর্ণ যার দিকে দৃষ্টিপাত করলেই অসংখ্য সওয়াব রয়েছে ও ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। হযরত মুসায়্যাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসে ক্বাবার দিকে দৃষ্টিপাত করল সে সদ্য প্রসূত নবজাত সন্তানের ন্যায় সকল গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (নুযহাতুল মাজালিস, পৃ: ১৫২)। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে ক্বাবা শরীফ দেখামাত্রই যে দুআ করা হয় তা কবুল করা হয়। (কানযুল উম্মাল,খন্ড: ০৪, পৃ: ৪৫৮)
উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “ক্বাবা শরীফের প্রতি দৃষ্টিপাত করা ইবাদত।” (কানযুল উম্মাল, কিতাবুল আমল, খন্ড:৪, পৃ: ৪৫৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা বায়তুল্লাহ শরীফে প্রতিদিন একশত বিশটি রহমত নাযিল করেন, তন্মধ্যে ষাটটি রহমত তাওয়াফকারীদের জন্য, চল্লিশটি রহমত নামায আদায়কারীদের জন্য, বিশটি রহমত ক্বাবা দর্শনকারীদের জন্য। (বায়হাকী, ফজায়েলে হজ্ব, পৃ: ১০৫, আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড:৩, পৃ: ২৮১)
কিয়ামত দিবসে নবীজির রওজা শরীফের নিকট
বায়তুল্লাহ শরীফ উপস্থিত করা হবে
হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন ক্বাবা শরীফকে সজ্জিত করে আমার রওজায়ে আকদাস’র নিকট উপস্থিত করা হবে এবং আরজ করবে, হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার উপর সালাম। তদুত্তরে আমি বলব ওহে বায়তুল্লাহ তোমার উপর সালাম। অতঃপর রাহমাতুল্লীল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্বাবা কে জিজ্ঞেস করবেন, ওহে কা’বা! আমার পর আমার উম্মতরা তোমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছে? তদুত্তরে ক্বাবা বলবে ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার উম্মতের যে, ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে আমি তাদের জন্য সুপারিশ করব। যারা আমার নিকট আসেনি আপনি তাদের জন্য শাফায়াত করুন। (তাফসীরে দুররে মনসুর, খন্ড:১ম, পৃ: ১৩৭, আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ৩য়, পৃ: ২৮২)
ক্বাবা শরীফ নির্মাণ
মহান স্রষ্টার কুদরতী নিদর্শন খানায়ে ক্বাবা পবিত্র মক্কার বরকত মণ্ডিত ভূখন্ডে অবস্থিত ক্বাবা গৃহই পৃথিবীর সর্বপ্রথম নির্মিত ঘর। হযরত আদম (আ:) থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ক্বাবা শরীফ অনেকবার পুন: নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। আসমানে ফেরেস্তাদের ইবাদতের জন্য আল্লাহ তা’আলা আসমানে আল্লাহর ঘর বায়তুল মামুর নির্মাণ করেন। যমীনে ফেরেস্তাদের আবেদনের নিমিত্তে বায়তুল মামুরের বিপরীতে হুবহু নীচে আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে ফেরেস্তারা যমীনে নির্মাণ করলেন বায়তুল্লাহ শরীফ, যার নাম খানায়ে ক্বাবা। (তাফসীরে সাভী, পৃ: ১৫০)
হযরত আদম (আ:) পৃথিবীতে শুভাগমনের পর আল্লাহর নির্দেশক্রমে খানায়ে ক্বাবা পুনঃনির্মাণ করেন। তৃতীয়বার হযরত শীস বিন আদম (আ:) অতঃপর হযরত নুহ (আ:)’র যুগে অনুষ্ঠিত মহাপ্লাবনের সময় সবকিছু ধ্বংশ স্তুপে পরিণত হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে আল্লাহ তা’আলা খানায়ে ক্বাবা কে আসমানে উঠিয়ে নেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা হযরত ইবরাহীম (আ:) কে খানায়ে ক্বাবা পুনঃ নির্মাণের নির্দেশ দিলেন। নুহ (আ:)’র তুফানে নিশ্চিহ্ন ক্বাবা শরীফের বিলুপ্ত ভিত্তি চিহ্নিত করার জন্য আল্লাহ তা’আলা জিবরীল (আ:) কে প্রেরণ করেন। আল্লাহর নির্দেশক্রমে তিনি বায়তুল্লাহর সীমানা নির্ধারণ করে দিলেন, বর্ণনায় এসেছে আল্লাহ তা’আলা এক খন্ড মেঘমালা প্রেরণ করলেন যতটুকু স্থানে মেঘের ছায়া পড়েছে সে জায়গাটুকু বায়তুল্লাহর সীমা হিসেবে নির্ধারিত হয়। (মা আ রিজুন নবুয়ত, পৃ: ৩৬৪)
নির্ধারিত সীমারেখায় হযরত ইবরাহীম (আ:) ও তদীয়পুত্র ইসমাঈল (আ:) বায়তুল্লাহ শরীফ পুনঃনির্মাণ করলেন, ক্বাবা শরীফ নির্মাণের পর অতিরিক্ত পাথরগুলো তাঁর বরকতময় নূরানী হাতে তিনি নিক্ষেপ করলেন নিক্ষিপ্ত পাথরগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে, বড় পাথরগুলো যে স্থানে পতিত হয়েছে সেখানে জামে মসজিদ যেখানে ছোট পাথর পতিত হয়েছে সেখানে ইবাদতখানা নির্মিত হবে।
আমালিকা গোত্র, জুরহুম গোত্র, মুদার গোত্র, কুরাইশ গোত্র কর্তৃক নির্মিত হয়। কুরাইশ গোত্রের নির্মাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও শরীক ছিলেন এবং তিনিই হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করেছিলেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রা.), সর্বশেষ হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কর্তৃক নির্মিত হয়। এমতাবস্থায় তৎকালীন ইমাম হযরত মালেক ইবনে আনাস (র.) শরয়ী (ফাতওয়া) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন পবিত্র ক্বাবা শরীফ নির্মাণ পুনঃনির্মাণের নামে এভাবে ভাঙ্গাগড়া অব্যাহত থাকলে পরবর্তী বাদশাহদের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে পবিত্র ক্বাবা’র প্রতি অসম্মান হবে। কাজেই বর্তমানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় রাখা হোক। সমগ্র মুসলিম উম্মাহ মহান ইমামের এ ফাতওয়া সর্বসম্মত ভাবে গ্রহণ করে নিলেন। হাজ্জাজ ইবনে ইউসূফের নির্মাণই বর্তমানে বিদ্যমান আছে। তবে উসমানী সুলতান মুরাদ ইবনে আহমদ ও পরবর্তীতে সওদী বাদশাহ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে মূল কাঠামো অক্ষুন্ন রেখে সংস্কার কর্ম অব্যাহত রয়েছে। (আদ-দ্বীন ওয়া তারীখুল হারামাঈন আশ শরীফাঈন, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৮৭/১৯৬৮, তারিখে মক্কা মুকাররমা, পৃ: ৩০)
ক্বাবা শরীফ নির্মাণের পর ইবরাহীম (আ:)’র দুআ
যে কোন ঘর নির্মাণ পুনঃনির্মাণ ও সংস্কারের পর আল্লাহর রহমত ও বরকত প্রাপ্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দুআ করা নবীদের সুন্নাত। হযরত ইবরাহীম (আ:) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আ:) খানায়ে ক্বাবা পুনঃনির্মাণের পর আল্লাহর দরবারে এ মর্মে দুআ করেছিলেন, “স্মরণ কর যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল ক্বাবা গৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিল। (তারা দুআ করেছিল) প্রভু আমাদের পক্ষ থেকে কবুল কর। নিশ্চয় তুমি শ্রবণকারী সর্বজ্ঞ। পরওয়ারদেগার আমাদের উভয়কে তোমার অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত দল সৃষ্টি কর। আমাদের হজ্বের রীতি নীতি বলে দাও। এবং আমাদের ক্ষমা কর। নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী, দয়ালু। হে পরওয়ারদেগার তাদের মধ্য থেকেই একজন রসুল প্রেরণ করুন, যিনি তাদের কাছে তোমার আয়াত সমূহ তিলাওয়াত করবেন, তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেবেন এবং তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয়ই তুমিই পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান। (সূরা: আল বাক্বারা, আয়াত: ১২৭-১২৯)
ইবরাহীম (আ:)’র প্রতিটি দুআ আল্লাহ কবুল করেছেন। ইবরাহীম (আ:)’র দুআর বদৌলতে বায়তুল্লাহ শরীফ ও মক্কা নগরী আজ গোটা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর বরকতময় পবিত্র স্থান উপরন্তু নিরাপদ ও সুরক্ষিত ঘর হিসেবে ঈমান ও ইসলামের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ পবিত্র নগরীতে আল্লাহ সৃষ্টিকূলের শ্রেষ্ঠ নবী দোজাহানের সরদার রাহমাতুল্লীল আলামীন কে প্রেরণ করে বিশ্ববাসীকে ধন্য করেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি তোমাদেরকে আমার জীবনের সূচনা সম্পর্কে বলব (আমি হলাম) ইবরাহীম (আ:)’র দুআ, ঈসা আলাইহিস সালাম’র সুসংবাদ, আমার জননীর স্বপ্নের প্রতীক। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং: ৫৭৫৯)
হে আল্লাহ আমাদেরকে আপনার সুপথপ্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন, পবিত্র খানায়ে ক্বাবা বায়তুল্লাহ শরীফ কেন্দ্রিক মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফিক নসীব করুন। করোনা মহামারী থেকে গোটা বিশ্ববাসীকে রক্ষা করুন, আমীন।

লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী);
খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।

মুহাম্মদ বোরাহান উদ্দিন
জামিরজুরী, দোহাজারী, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন : সাহু সিজদার বিধান সম্পর্কে জানালে কৃতার্থ হব।

উত্তর : আরবি “সাহবুন” শব্দের অর্থ ভুলে যাওয়া। ভুলবশত: নামাযে কোন ওয়াজিব আদায় না করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব। সাহু সিজদার নিয়ম হলো, আত্তাহিয়াতু পাঠের পর ডান দিকে সালাম ফিরাবে অত:পর দুটি সিজদা করবে, তারপর তাশাহুদ ইত্যাদি পড়ে সালাম ফিরাবে। (আলমগীরি, বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৬৯, রুকুনেদ্বীন, পৃ: ১৬৯)
ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব পরিত্যাগ করলে সাহু সিজদা দ্বারা ক্ষতিপূরণ হবে না, নামায পুনরায় পড়তে হবে। (দুররুল মোখতার, বাহারে শরীয়ত, ৪র্থ খন্ড, পৃ: ৭০)
ইমামের ভুলের কারণে মুক্তাদির উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। মুক্তাদির ভুলের কারণে ইমাম ও মুক্তাদি কারো উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হবেনা। (হিদায়া ১ম খন্ড) এক নামাযে কয়েকটি ওয়াজিব ছুটে গেলে দুটি সিজদাই যথেষ্ট। (দুররুল মোখতার, আনোযারে শরীয়ত, পৃ: ৫৬)
দুআ কুনুত বা কুনুতের তাকবীর বলতে ভুলে গেলে সাহু সিজদা ওয়াজিব। (আলমগীরি, ১ম খন্ড, পৃ: ১২৮)
নামাযে যদি দশটি ওয়াজিবও বাদ যায় দুটি সাহু সিজদাই যথেষ্ট। (রদ্দুল মুখতার, ২য় খন্ড, পৃ: ৬৫৫)

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনার বাংলায় বড় প্রাপ্তি
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে