হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সরোয়ার আজম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। তার বড়ভাই গোলাম সরওয়ারকে ইঁদুর মারার বিষ ও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা কেটে হত্যা করেছেন ছোটভাইকে। গত ১৪ জুন সরওয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছোট ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সরওয়ার জানান, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন আজমের আক্দ হওয়ার কথা ছিল। বউয়ের সাথে কথা বলার জন্য দোকানে থাকেন তিনি। এবার সুযোগ পান বড়ভাই সরওয়ার। সুযোগ কাজে লাগাতে পরিকল্পনা নেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের দিন রাত ৯টার সময় ঘর থেকে ছোট ভাইয়ের জন্য ভাত নেওয়ার সময় তরকারিতে মিশিয়ে দেন ইঁদুর মারা বিষ ও ঘুমের ওষুধ। ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে ভাত খাওয়া হয়নি আজমের। ঘরে চলে যান সরওয়ার। রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে মোবাইলে ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করেন ভাত খেয়েছে কিনা। আজম জানান, খেয়েছেন। এটা জানার পর সরওয়ার দোকানে এসে আজমকে ডাকতে থাকেন। আজম দোকান খোলার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
এবার সরওয়ার তাকে গালি দিয়ে দেখলেন চেতনা আছে কিনা। বুঝতে পারলেন ইঁদুর মারার ওষুধ ও ঘুমের ওষুধে কাজ হয়েছে। তারপর ছুরি দিয়ে তাকে জবাই করেন। এরপর দোকানের ভেতর থেকে চার্টারের দুটা নাট খুলে রাখেন। সেই খোলা নাট দিয়ে বের হয়ে তালা ও নাট লাগিয়ে দেন। এরপর ঘরে চলে যান।
সকালে আজম দোকান না খোলায় পাশের চায়ের দোকানে থাকা মানুষেরা তাদের ঘরে খবর দেয়। খবর শুনে সরওয়ার, চাচাতো, ফুফাতো ভাইসহ এলাকার মানুষ এসে দোকানের উপরে টিন খুলে ভেতরে প্রবেশ করে আজমকে গলা কাটা অবস্থায় দেখে চিৎকার করে।











