বর্ষা আসার আগেই চট্টগ্রামে একটু বৃষ্টি হলেই পথঘাট, নালা, সরুরাস্তা সমূহ ডুবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সারা বছরই চট্টগ্রামে নালা নর্দমা সমূহের কাজ করতে দেখা গেলেও বর্ষা আসলে সেগুলো যেনো কোনো কাজেই আসেনা। যাথারীতি আগের মতই মানুষজনকে হাঁটু কিংবা কোনো জায়গায় কোমর সমান পানি অতিক্রম করতে হয় কোনো কোনো এলাকায় আবার বাসার একতলা পর্যন্ত ডুবে যায়। এবিষয়ে চট্টগ্রামের বিদগ্ধজনেরা অজস্রবার পত্রপত্রিকায় লিখেছেন অনেকে আবার চট্টগ্রামের প্রতিজন মেয়রকে মৌখিকভাবে ক্ষেত্র বিশেষে উপদ্রুত জায়গায় গিয়ে দেখিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জনদরদি বিষয়টি ওনি নিজেও অবগত আছেন এবং এবিষয়ে তিনি যথেষ্ট পদক্ষেপও নিচ্ছেন বলেও শোনা যাচ্ছে কিন্তু তবুও চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা থেকে মানুষ সহজে মুক্তি পাচ্ছেনা। আমার মনে হয় চট্টগ্রামে যেভাবে জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে তা রোধ করতে হলে একটি বাস্তব এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার এটা মূলত এক কিংবা দু’বছরে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। জলাবদ্ধতা থেকে চট্টগ্রামকে স্থায়ীভাবে বাঁচাতে হলে মেয়র মহোদয়দের আন্তরিক প্রচেষ্টা খুবই জরুরি। তিনি যদি সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করেন তাহলে এই দুরূহ কাজ সফলতার সাথে শেষ করতে পারবেন। হয়ত এই কাজটি শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে তবে মেয়র সাহেব আন্তরিক হলে এটি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবেনা। তবে এবিষয়ে চট্টগ্রাম শহরের মানুষজনদেরও আন্তরিক হতে হবে, যেখানে সেখানে পলিথিন বা ময়লা আবর্জনা ফেলে নগরীর নালাগুলোকে আটকিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। সিটিকর্পোরেশনের একজন নাগরিক হিসেবে সবাইকে তাদের নাগরিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রকৃতপক্ষে নগরীর বাসিন্দা এবং নগরপিতা যদি এক হয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব। তবেই হয়ত আমরা জলাবদ্ধতামুক্ত একটি চট্টগ্রাম নগরী পেতে পারি। মোর্দাকথা সামনে ঘোর বর্ষা আসার আগেই মাননীয় মেয়র মহোদয়কে এবিষয়ে কী করা যায় তা আগেভাগেই ঠিক করে রাখতে হবে। যদি এবছর সম্ভব নাও হয় তাহলে আগামি বছর কীভাবে চট্টগ্রামকে শতভাগ জলাবদ্ধতা মুক্ত করা যায় তার একটি সঠিক রোডম্যাপ তৈরি করে সে অনুুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।