করোনার কারণে ১ বছরেরও অধিক সময় ধরে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির ফলে লকডাউনের মাধ্যমে দেশের সব কিছু বন্ধ করে দেয়া হলেও ইতোমধ্যে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য সব প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হয়েছে। খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এতো দীর্ঘসময় বন্ধ থাকার কারণে এর সঙ্গে জড়িত বিশেষ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের কেউ কেউ অভাবের তাড়নায় পেশা পরিবর্তন করে যোগ্যতার তুলনায় নিম্নমানের কাজ করলেও আবার অনেকে বিপথে পা বাড়িয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের অভিভাবকগণ রয়েছেন চিন্তিত। যদিও সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাশ নেয়ার নির্দেশনা দেয়ার কারণে কিছু দিন তা চালু থাকলেও বাস্তবে তাতে তেমন সুফল পাওয়া গেছে মর্মে মনে হয়না, কারণ আমাদের দেশের ক’জনার এ সুযোগ রয়েছে তাও বিবেচ্য বিষয় ছিল বরং অনেক কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীর হাতে এনড্রয়েড মোবাইল সেট তুলে দেয়ায় এরা এ সুযোগে অনেকেই এর অপব্যবহার করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চেয়ে ইতোমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সম্মুখেসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে আয়োজিত এ সংক্রান্ত সভায় অটোপাস বন্ধসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলে দেয়ার দাবী জানানো হয়েছে। বিষয়টি জ্ঞানী মহলের সুদৃষ্টি আকৃষ্ট করেছে। প্রকৃত শিক্ষা অর্জন ব্যতীত সার্টিফিকেট যে মূল্যহীন এটি তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। একমাত্র বিয়ের আসর ব্যতীত এ পাসের সার্টিফিকেট বাস্তব জীবনে তাদেরকে প্রশ্নের সম্মুখীন করবে, কর্মক্ষেত্রে প্রচুর ভোগাবে, সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। এ নিয়ে অনেকেই অনেক রকম সমালোচনা করলেও আমি সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতেই অভ্যস্থ। অনেক দিন পার হয়েছে, প্রয়োজনে শিফটিং প্রথা চালু করে দেশ ও দশের ভবিষ্যত উন্নতির কথা বিবেচনাপূর্বক খুব দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়ার এখনই সময়।