ইদানিং দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টিপাত ছাড়াই জোয়ারের পানিতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বাকলিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ হাঁটু সমান পানি উঠে রাস্তা ঘাটগুলো ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানে পানি প্রবেশ করে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে আসে স্থবিরতা। পাশাপাশি সাধারণ জনগণ দুর্ভোগে পড়েন। অন্যদিকে দেখা যায়, মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর প্রায় এলাকা তলিয়ে যায় হাঁটু থেকে কোমর পানিতে। প্রবল বর্ষণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। খাল-নালা পরিষ্কার না হওয়ায় প্রায় সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। নগরীর প্রধান সড়ক এশিয়ান হাইওয়ের বহদ্দারহাট থেকে ষোলশহর ২নং গেইট পর্যন্ত কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় প্রায় ৫/৬ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরবাসী গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। প্রতি বছরই বৃষ্টির মৌসুমে জলাবদ্ধতা নাগরিক জীবনকে থমকে দেয়। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে কিছুতেই নগরবাসী বেরিয়ে আসতে পারছে না। এ যেন নগরবাসীর কপালের লিখন। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে এ পর্যন্ত বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও তা কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরবাসী স্থায়ী পদক্ষেপ চায়।
এম. এ গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।