এবার আগ্রহ সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্টের

নগরে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিজস্ব উদ্যোগেই করবে সব

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৭ জুন, ২০২১ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

এবার নগরে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লি.। তারা নিজস্ব উদ্যোগে জায়গার ব্যবস্থা, বর্জ্য পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কর্মরতদের অর্ধেক খরচ বহনসহ প্লান্ট স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করে এ প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলে, ৪১টি ওয়ার্ড থেকে দৈনিক প্রায় তিন হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুটি স্থানে ডাম্পিং করা হয়। ডাম্পিংয়ের কারণে এলাকা দুটির জনস্বাস্থ্যসহ পরিবেশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডাম্পিং স্টেশনে স্তূপকৃত বর্জ্য শোধন করে বিদ্যুতসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য রূপান্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশবান্ধব শহর হবে চট্টগ্রাম। তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল। তাছাড়া প্লান্ট স্থাপনে ৩০ থেকে ৩৫ একর জায়গা প্রয়োজন। আমাদের পক্ষে এই পরিমাণ জায়গা দেওয়া এবং অন্য ব্যয়ভার নেওয়া সম্ভব হবে না। সরকার থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অনুমোদন পেতে যাবতীয় প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানটিকেই গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা করব।
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জায়গা আমরা নিজেদের খরচে ক্রয় করব এবং যাবতীয় মেশিনারিজ ক্রয়ে জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি সহায়তা করবে। অবকাঠামোগত খরচও আমাদের কোম্পানি ব্যয় করবে। এছাড়া বর্জ্য পরিবহনের জন্য যেসব যানবাহন প্রয়োজন হবে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যে সকল শ্রমিক কর্মরত থাকবে তাদের অর্ধেক খরচ আমাদের কোম্পানি গ্রহণ করবে। আমরা শুধু চসিকের বর্জ্যগুলো কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করব।
তারা বলেন, চসিকের যে দুটি ডাম্পিং স্টেশন বিদ্যমান আছে তা চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। জায়গাটি চসিক অন্য আয়বর্ধক কাজে ব্যবহার করতে পারবে। মেয়র জানতে চান, চুক্তি হওয়ার কতদিনের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে? তারা জানান, কোনো ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে না হলে ২৪ থেকে ২৬ মাসের মধ্যে প্রকল্প চালু করা যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, মো. আবুল সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌরভ সিদ্দিকী, পরিচালক সাখাওয়াত জাকি, আসিকুর রহমান ও মাজিদ আহমেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসারা দেশে ব্রডব্যান্ডে এক রেট, মাসে ৫০০ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধচাক্তাই খাতুনগঞ্জ টেরীবাজারে দোকানে দোকানে পানি