চট্টগ্রাম জেরা রেফারী সমিতির কার্যালয় থেকে জুয়াড়ি গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ সরগরম চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। আজ থেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থা গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করছে। তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন তারা আজ রেফারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান মিরনকে তলব করেছে। আজ সন্ধ্যা ৭ টায় তাকে তদন্ত কমিশনের মুখোমুখি হতে বলা হয়েছে। যদিও এরই মধ্যে আবদুল হান্নান মিরন তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সমিতির সভাপতি বরাবরে প্রেরিত চিঠিতে মিরন তার পদত্যাগের কথা জানান। যদিও তার এই পদত্যাগ নিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছেন এই জুয়ার আসরের দায় থেকে মুক্তি পেতে হয়তো এটা তার একটি কৌশল। তবে সমিতির সভাপতি আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি স্বাধীন ভাবে কাজ করবে। তারা যে সুপারিশ করবে সে ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। কারণ এই ঘটনা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সব ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। এখন এর পেছনে দায়ীদের কঠোর শাস্তি দিয়ে এই ভাবমুর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে হবে।
এদিকে আবদুল হান্নান মিরনের দাপটের কাছে ঠিকতে না পেরে রেফারী সমিতি ছেড়ে চলে যাওয়া রেফারীরা গত বৃহস্পতিবার রাতে সমিতির সভাপতি আ.জ.ম. নাছির উদ্দিনের সাথে দেখা করেছে। সাবেক ফিফা রেফারী মারুফ শিকদারের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন রেফারী সভাপতির কাছে গিয়ে তাদের বিতাড়িত করার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন। তারা অভিযোগ করেন এদের মধ্যে ফিফা রেফারীর পরীক্ষা দিতে পারেনি একাধিক রেফারী। তাদের অভিযোগ শুধু সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নান মিরনের মতের সাথে একমত পোষণ করতে না পারায় তাদেরি বিতাড়িত হতে হয় রেফারী সমিতি থেকে। যেখানে অনেকের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রেফারী ক্যারিয়ারের ইতি টানতে হয়। বিতাড়িতরা আলাদা সমিতি করে চট্টগ্রামের নানা জায়গায় খেলা পরিচালানা করছেন। আর সেখানে তাদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে জানিয়েছে বিতাড়িতরা। জুয়া কান্ডের পর রেফারী সমিতিতে পরিবর্তন আসবে তেমনটি আশা করছে তারা। আর সে পরিবর্তনে তারা সুবিচার পাবে তেমনটি আশা করছে।
আবার তারা তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান রেফারী সমিতিতে ফিরতে পারবে বলে আশা করছে বিতাড়িত রেফারীরা। রেফারী সমিতির সভাপতি আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন তাদের কথা শোনেন এবং সুবিচারের আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছেন বিতাড়িত গ্রুপের সদস্য রতন কান্তি দাশ। পাশাপাশি রেফারী সমিতিতে জুয়ার আসর বসিয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করার সাথে জড়িতদের কঠোর শস্তি দাবি করে বিতাড়িত রেফারীরা। এক সাথে তারা তাকিয়ে আছে তদন্ত কমিশনের দিকে। যে কমিশন আজ থেকে তাদের কাজ শুরু করছে।