ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু আজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ জুন, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

সারাদেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ১৯ জুন পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১৩ লাখ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সীদের একটি করে নীল রঙের (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের (২ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খাওয়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও ছয় মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী- এ ক্যাম্পেইনে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ১৩ লাখ (১২ লাখ ৯৭ হাজার ৮১৫ জন) শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলার ১৪টি উপজেলায় মোট ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। অন্যদিকে, মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সবমিলিয়ে মহানগর ও জেলায় প্রায় ১৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার জানান, মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে সবমিলিয়ে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭৬১। আর ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৭০।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ১৪টি উপজেলায় মোট ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭৮৪ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৮ হাজার ৯৬০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৪ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ৪ হাজার ৮০০টি কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন বলেন, এ ক্যাপসুল খেলে শিশুদের সমস্যা হয়না। তবে খালি পেটে খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এ জন্য শিশুদের ভরাপেটে ক্যাপসুলটি খাওয়াতে হয়। তবে কোনো শিশু গত চার মাসের মধ্যে এ ক্যাপসুল খেলে তাকে আর খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া অসুস্থ এবং ৬ মাসের কম বয়সী ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করাই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। ৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সকল অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধও জানিয়ছেন সিভিল সার্জন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধউৎপাদন বাড়িয়ে চা রপ্তানি করা হবে