কক্সবাজারে পিবিআই এর অফিস ও পৌরসভার পানি শোধনাগার প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুল আফসারসহ ৮ জনকে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মে মাসের বিভিন্ন সময়ে ও জুন মাসের শুরুতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের নোটিশ দেয় কঙবাজারে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া সার্ভেয়ার ওয়াশিম খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। দুদকে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়াদের তালিকায় পুলিশের এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, দুই সিনিয়র সহকারী সচিবও রয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুল আফসার ২০২০ সাল পর্যন্ত কঙবাজারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে তিনি কঙবাজারে বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া তদারককারিতে ছিলেন। নোটিশ দেওয়াদের তালিকায় রয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত মো. মনিরুজ্জামান। তিনি কঙবাজারে পিবিআইয়ের প্রশাসনিক অফিস তৈরির প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দুদকের নোটিশ দেওয়াদের মধ্যে বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সিনিয়র সহকারী সচিব শাহ জাহান আলী সরকার, তিনিও কঙবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাছাড়া সিলেটের বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএইচএম মাহফুজুর রহমানকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময়ে তিনি কঙবাজার সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলেন। তাছাড়া কঙবাজার সদর ভূমি অফিসের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোক্তার ও কঙবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামিম হোসাইনকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। শাহরিয়ার মোক্তার কঙবাজার থেকে বিআরটিএ চট্টগ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাবের অভিযানে ঘুষের ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকাসহ গ্রেপ্তার হন কঙবাজার এলএ শাখার সার্ভেয়ার ওয়াশিম খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলা তদন্তে নেমে ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে জানতে পারেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যেও শাহরিয়ার মোস্তার ও শামিম হোসাইনকে নোটিশ করলেও দুদকে হাজির হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা। এই মামলা নিয়ে বিশদ তদন্তে বড় বড় রাঘববোয়ালদের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাকে দুর্নীতিতে জড়িত প্রভাবশালীরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে বলেও জানা গেছে।











