সপ্তাহখানেক ধরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে লবণাক্ততার কারণ জানতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহর কাছে ছুটে গেলেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল বুধবার দামপাড়ার ওয়াসা ভবনে এমডির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ এবং এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি ওয়াসার পানিতে সহনীয় মাত্রার চেয়েও বেশি পরিমাণে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। এতে করে সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন নগরবাসী। নগরের বিভিন্ন এলাকায় পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদও পাওয়া গেছে। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। নগরবাসী কেন টাকা দিয়ে লবণ পানি কিনে খাবেন সে প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় তারা। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসার পানিতে লবণাক্তের পরিমাণ কমিয়ে আনার আহ্বান জানান। প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সুজনের বক্তব্য শুনেন। লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়া এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হালদা নদীতে কর্ণফুলীর পানি ঢুকছে। আর এ কারণেই লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্প ও মদুনাঘাট পানি শোধনাগার থেকে পানি উৎপাদন আপাতত বন্ধ রেখেছে ওয়াসা। তবে বৃষ্টি এলেই লবণাক্ততার পরিমাণ পুরোপুরি কমে যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ, সদস্যসচিব মো. হোসেন, মো. বাবলু, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।