চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’ এর প্রধান ফটকে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ লেখা ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরাম’ নামে একটি সংগঠনের কর্মীরা। গতকাল সংগঠনটির নগর শাখার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে ‘জিয়া স্মৃতি যাদুঘর’ এর সামনে অবস্থান নেয়। পরে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ ব্যানার টাঙ্গিয়ে সেখানে মানববন্ধনও করে। মানববন্ধন থেকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরাম’ এর নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই নগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আছেন।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগোষ্ঠির উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। সিপাহি বিপ্লবের নামে ক্ষমতা দখলের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করেছিল জিয়া। একজন খুনির নামে চট্টগ্রামে কোন স্থাপনা থাকতে পারে না। তার নামে এই স্থাপনার জন্য বীর চট্টলার মানুষ প্রতিটা মুহূর্তে বিব্রতবোধ করছেন।
মানববন্ধনে জানানো হয়, নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর’ করার জন্য চট্টগ্রামের ৩০ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু নাম পরিবর্তন বিলম্বিত হওয়ায় চট্টগ্রামবাসীর মনে চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আবার আন্দোলনে নামা। নাম পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের সহ-সভাপতি ও নগর ছাত্রলীগের সদস্য মোশরাফুল হক চৌধুরী পাবেলের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের সদস্য ইমরান আহমেদ শাওনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈকত বর্মণ, নাজিম উদ্দিন সাইফুল, ইমরান খান, মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম প্রমি, এস এম আল আমিন বাবু, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দীন সিকদার সুমন, সংগঠনের ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মানিক, মোমিনুল হক সুমন, সৈকত দাশ, আরাফাত মহসিন, সংগঠনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জাহেদ, আরমান, আয়াত, সাজ্জাদ, বান্টি, নজরুল, নিশান বিশ্বাস, আব্দুর রহমান ও অন্তু বড়ুয়া।