ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মলগুলো খোলা হয়েছে। মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কেনাকাটা করছেন লোকজন। সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার পর মার্কেট, বিপণি বিতান এমনকি অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এত মানুষের ভিড়ে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে সচেতন মহল। এভাবে ঘর থেকে মানুষ বের হয়ে সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থীভাবে চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তের পাল্লাও ভারী হবে, নিঃসন্দেহে।
জায়গায় জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে বিধি নিষেধ থাকলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেন না। এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, লকডাউন যখন ছিল তখনই সেটাই মানুষ পালন করেছে শিথিলভাবে। আর এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে তাতে মানুষ যেভাবে চলছে তাতে মনে হচ্ছে করোনা একটি গুজব। কারণ এমনিতেই সাধারণ মানুষ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। দোকান, আর শপিং মলে মানুষ গা ঘেঁষে চলাচল করছে। তাতে করোনা মহামারির আকার ধারণ করবে এটাই স্বাভাবিক।
মার্কেট সীমিত পরিসরে খোলায় ক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা এটা উচিৎ। তবে সর্বদা জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার শর্তসাপেক্ষে কৌশলগতভাবে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে এবং বেগবান করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের শর্ত বাস্তবায়নে বরাবরই শূন্যতা। জনগণ এসবে দৃষ্টি রাখছেন না, শর্তগুলোও পরিপূর্ণভাবে মানছেন না।
মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, চট্টগ্রাম