চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬জন আহত হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বেতুয়ারকুল গ্রামের মীর কাশেমের তিনপুত্র যথাক্রমে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন রানার নাম উল্লেখসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। পাল্টা এজাহার দেওয়া হয় অপরপক্ষের মো. রুবেল বাদী হয়ে। সেই এজাহারে পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পাওয়েল, ইলিয়াছ, মো. রুবেল, মো. রাশেদসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থানায় দেওয়া এজাহারে দাবি করেছেন, আসামিরা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্ড পাওয়ার আবেদন ফরম তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার শহীদুল মোস্তফা রুবেলের হাতে দেয়। সেই ফরম রুবেল পরিষদের সচিবের কাছে প্রেরণ করলে তা নিয়মানুযায়ী ইউএনওর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিরা গতকাল রবিবার দুপুরে হঠাৎ পরিষদ কার্যালয়ে এসে তাণ্ডব ও লুটপাট চালায়। এ সময় চৌকিদারসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসলে আমাকেও (চেয়ারম্যান) আক্রমণ করে। এ সময় পরণের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনার সময় কয়েকটি মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে। আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পরিষদের। এতে চারজন আহত হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়।
অপরদিকে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য আবেদনকারী মো. রুবেল এজাহারে দাবি করেছেন, তার তিন শিশুর জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য চেয়ারম্যানের ড্রাইভার শহীদুল মোস্তফা রুবেলকে নগদ ৯৭০ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু সেই কার্ড কখন পাবে সেটা জানতে গেলেই আসামিরা আমার (বাদী) ওপর চড়াও হয় এবং আক্রমণ করে। এমনকি পরিষদের ভেতরে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে আমার ভাই ফরহাদ এগিয়ে আসলে তাকেও আক্রমণ করে। এতে দুইজনকে রক্তাক্ত জখম এবং অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আমাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে উভয়পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুইপক্ষের অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।












