জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক রাষ্ট্রের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন, তার মধ্যে বাংলাদেশের আছে ১৫ শতাংশেরও কম। বনভূমি বেদখল ও প্রকৃতির উপর ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় এ হার আরও কমতে শুরু করছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি বেদখল হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রভাবশালী অসাধু চক্র সরকারি খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। বনভূমি পরিমাণ কমে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীরা মানুষের সংস্পর্শে এসে ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু, নষ্ট করছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা। চলমান করোনা মহামারি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির উপর হস্তক্ষেপের ফলে কতটা বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু এই দুর্দিনেও বন্ধ হয়নি নির্বিচারে প্রাণ ও প্রকৃতি বিপন্নের ধ্বংসযজ্ঞ। যার ফলশ্রুতিতে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতাসহ নানা প্রকৃতির দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বনভূমি বেদখল বন্ধ এবং দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করা জরুরি। বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এই সংকট নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও দ্রুত কার্যকর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মাহফুজুর রহমান, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।