হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু ফোটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আহরণকারীরা। তবে অধিক পরিমাণ ডিম না পাওয়ায় ডিম ফোটানোর কাজে এত বেশি জৌলুস নেই। সরকারি হ্যাচারি ছাড়া যেসব ডিম সংগ্রহকারী সনাতন পদ্ধতিতে মাটির কুয়ায় ডিম ফোটাতে চেয়ে ছিল, তাদের কিছু ডিম নষ্ট হয়ে গেছে কুয়ায় জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকে। একদিকে পর্যাপ্ত ডিম না পেয়ে ডিম আহরণকারীদের মধ্যে হতাশা, অন্যদিকে সংগৃহীত ডিম মাটির কুয়ায় ফোটাতে গিয়ে লবণাক্ত পানির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের হতাশা আরো বেড়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে রেণু বিক্রি শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডিম আহরণকারীরা।
সূত্রে জানা যায়, গতবছর হালদা নদী থেকে ২শ ৮০টি নৌকার মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫শ ৩৬ কেজি ডিম সংগৃহীত হয়েছিল। এ বছর ৩শ ৪৩টি নৌকার মাধ্যমে ৮শ ৬জন লোক ৬ হাজার ৫শ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছে মাত্র। ঘূর্ণিঝড় ঝড় ইয়াসের প্রভাবের কারণে ডিম ছাড়ার পরিমাণ কমে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এবার ডিম কম সংগৃহীত হওয়ায় দাম বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর ও আশু বড়ুয়া জানান, এবার ডিম কম পাওয়ায় ডিম আহরণকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের নিয়োগকৃত লোকজনের মজুরি, নৌকা ও সরঞ্জাম ভাড়া পুষিয়ে উঠা কষ্ট সাধ্য হবে। যে পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে, এতে তাদের পরিশ্রমের টাকাও হবে না। তবে রেণুর দাম প্রতি কেজি লক্ষাধিক টাকা নির্ধারিত হবে বলে তারা জানান।