বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকে সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত হয়েছে। এই খবর অনেকের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা করছেন ঢাকার বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রামক নয়। তাই এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সুরক্ষার উপায় : যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল সিডিসি বলছে, যেসব জায়গায় ছত্রাকের উপস্থিতি আছে সেসব জায়গা এড়ানো কঠিন। চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব ছত্রাকের কারণে মিউকোরমাইকোসিস হয় সেটা পরিবেশে থাকা সাধারণ ঘটনা। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তারা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে।
১. সিডিসি বলছে, যেসব জায়গায় অনেক বেশি ধুলোবালি রযেছে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলা। যদি এড়িয়ে চলা সম্ভব না হয় তাহলে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা।
২. প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেসব স্থাপনা পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলোর সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। সিডিসি বলছে, এসব জায়গা থেকে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
৩. চামড়ায় যাতে কোনো ইনফেকশন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। কোথাও কেটে গেলে কিংবা চামড়া উঠে গেলে সেটি যাতে ধুলো-ময়লার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪. কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৫. রোগীর স্টেরয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানী হতে হবে। স্টেরয়েডের ব্যবহার ডায়াবেটিসকে অনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে পারে। ফলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
৬. রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
৭. মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
সিডিসি বলছে, এসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেই যে সংক্রমণ এড়ানো যাবে সেটি এখনো পুরোপুরি প্রমাণিত নয়।












