বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দরকিল্লার জেমিসন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে কর্মরতদের একাংশ মানববন্ধন করেছেন। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে ব্যানার নিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি- করোনার কারণে এমনিতেই আর্থিক সংকট চলছে। এর মধ্যে দীর্ঘ সাত মাস ধরে বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। কর্মস্থল থেকে দীর্ঘ সময় বেতন-ভাতা না পাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। নিয়মিত বেতন না পাওয়ার পেছনে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়ী করেন তারা। যদিও মানববন্ধনে কোনো চিকিৎসক-নার্সকে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় মাতৃসদন হাসপাতালটি। বড় জোর ৫ মাসের বেতন বকেয়া থাকতে পারে জানিয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি আসলাম খান আজাদীকে বলেন, চলতি বছরের ৩ মার্চ সেক্রেটারি হিসেবে আমি দায়িত্ব নিই। কিন্তু আগের সেক্রেটারি আমাকে কোনো প্রকার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। আন অফিশিয়াল ভাবে যতটুকু দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি তা নিয়েই আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও অন্যান্য স্টাফের বেতন বাবদ প্রতি মাসে ৬৪ লাখ টাকা খরচ হয় জানিয়ে আসলাম খান বলেন, করোনায় আয় কমে যাওয়ায় বেতন প্রদানে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপরও আয়া, সুইপার, পিয়ন, দারোয়ানসহ বিশেষ করে লোয়ার লেভেলের স্টাফদের বেতন-ভাতা আমরা নিয়মিত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে ডাক্তারসহ উপরের লেভেলের কিছু স্টাফের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। তাও ৫ মাসের মতো হতে পারে। এর বেশি না। কয়েকজন বহিরাগতসহ একটি মানববন্ধনের চেষ্টা হয়েছিল। সেটা শোনার পর আমি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমার কথায় আশ্বস্থ হয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তবে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলছিল, সেটা লিখিতভাবে আমাকে দিতে বলেছি। আমরা বিষয়টি দেখব। প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের জন্য বেতন কাঠামো বা সার্ভিস রুল কিছুই নেই জানিয়ে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সেক্রেটারি আসলাম খান বলেন, মোটকথা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের সিস্টেম ছিল না। স্বচ্ছতার অভাবও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন সিস্টেমে আনার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন আসলাম খান।