আবার চার দিনের রিমান্ডে হেফাজত নেতা ফয়েজী

আজাদী অনলাইন | বুধবার , ১৯ মে, ২০২১ at ৮:৪১ অপরাহ্ণ

হাটহাজারী থানার দুই মামলায় আবার ৪ দিনের রিমান্ডে হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী।
আজ বুধবার (১৯ মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের ভার্চুয়াল আদালত দুই মামলায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করে। বাংলানিউজ
চট্টগ্রাম জেলার কোর্ট পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির জানান, সম্প্রতি হাটহাজারী থানার দায়ের হওয়া দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পৃথকভাবে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন আদালতে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এক মামলায় ২ দিন করে ২ মামলায় ৪ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণীর আদালতে হাটহাজারী থানায় ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৬ মে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় এক নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় হয়। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত চ্যাটিং হতো তাদের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাটহাজারীর কনক বিল্ডিংয়ের নিচতলায় বাসা ভাড়া করে দেন ফয়েজী। দীর্ঘ এক বছর ওই ভাড়া বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। গত বছর হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম নগরে খালার বাসায় চলে আসার পরও বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে সুকৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মো. মুকিব হাসান।
গত ৫ মে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে গত ৬ মে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ রাতে থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। হাটহাজারী থানায় ভূমি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া হাটহাজারী থানায় হামলা ও ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ, স্থানীয় অস্ত্র ব্যবহার এবং উপজেলা ডাকবাংলো ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে হামলায় স্কুল শিক্ষার্থী ও গৃহবধূ জখম
পরবর্তী নিবন্ধইউএনওর হস্তক্ষেপে কনে না নিয়েই ফিরতে হলো বরপক্ষকে