শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ছায়া : মাহতাব উদ্দিন

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

| মঙ্গলবার , ১৮ মে, ২০২১ at ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনা অপরিহার্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ছায়া। তাঁর হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ। গণতন্ত্র ভাত ও ভোটের আন্দোলনে সফল এই নেত্রী মৃত্যু ভয় তুচ্ছ করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে থেকে চার যুগ জাতির দুঃসময় জয় করে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে পৌঁছে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আজ বিশ্বে উন্নয়ন ও নীতির ক্ষেত্রে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গতকাল সোমবার, দামপাড়া পল্টন রোড জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী’র বাসভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম ‘শেখ হাসিনা বাংলার গণতন্ত্রের আকাশে ধ্রুবতারা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফর আলী, শ্রমিক নেতা আবদুল খালেক চৌধুরী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আকতার উজ জামান চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন আজমল, ভাস্কর চৌধুরী, আবদুল মালেক, সেলিম মঈন উদ্দিন মোল্লা জনি প্রমুখ। সভার সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, নানা প্রতিকূলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শেখ হাসিনা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সময়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে জনগনের প্রাণপ্রিয় সংগঠনে পরিণত করে দলকে চারবার রাষ্ট্র পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশগঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সাংস্কৃতিক পরিষদ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃত্বপ্রতিম সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখেন। শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জাতির পিতার আত্মস্বীকৃতি খুনিদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির রায় কার্যকর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা রাজাকার আলবদর আল সামস্‌ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করে বাংলাদেশের মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করছেন। গত ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ লিপটনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন মোরশেদা পারভীন, কেমি বড়ুয়া, রোকন উদ্দিন আহমেদ, কণ্ঠশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, পূর্ণিমা চৌধুরী, শরীফা ইয়াসমিন, মুন, প্রণব চক্রবর্ত্তী, মো. জাহাঙ্গীর, রেখা বড়ুয়া, সামিনা, আকাশ, রেজাউল করিম, দীপিকা দাশ, প্রিয়ান্তী বড়ুয়া, অরুণ দাশ, রিতা বড়ুয়া, জাফর ইকবাল, গীতা দাশ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েলি হামলা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে ১০ হাজার নলকূপ অকেজো