চট্টগ্রামে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এবার চট্টগ্রামে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৬২ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৫ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২০৬ মেট্রিক টন। তবে উৎপাদন হয়েছে এর চেয়েও বেশি।
এই ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান আজাদীকে জানান, এখন পর্যন্ত সুন্দর ভাবে ৯৫ শতাংশ ধান কৃষক কেটে ঘরে তুলেছেন। এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। এ কারণে বোরো ধানের ফলন বেশি হয়েছে। কারণ হাইব্রিডের উৎপাদন এবার বেড়েছে। নতুন নতুন জাতেরও সমপ্রসারণ ঘটেছে। উৎপাদনে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। করোনার মধ্যেও আমরা কৃষককে নানাভাবে সহায়তা করেছি। দেশের ইতিহাসে বোরো ধানের উৎপাদন এবারই সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই ধান উৎপাদনে এবার চট্টগ্রামহ সারাদেশ রেকর্ডের পথে রয়েছে। এবার বোরোর গড় ফলন হয়েছে চার মেট্রিক টনের মতো। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বোরোতে হাইব্রিড ধানের গড় ফলন সাধারণত ৪ দশমিক ৮ টন থেকে ৪ দশমিক ৯ টন পর্যন্ত। উফশীতে ৩ দশমিক ৫৫ টন থেকে ৩ দশমিক ৯ টন পর্যন্ত। আর স্থানীয় জাতের ফলন সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত। সব মিলয়ে জাত ভেদে এবার ফলন ভালো। এছাড়া এবার মৌসুমের শুরুতে ধানের ভালো দামও পেয়েছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা মণে ধান বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সমপ্রতি প্রতিমণ ধান ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাম্পার ফলন আর ধানের দাম পাওয়ায় কৃষকরাও খুশি। তবে কৃষি শ্রমিকের সংকটের কারণে কৃষকের মাঠে এখনো ধান রয়ে গেছে বলে জানান আনোয়ারা উপজেলার শিলালিয়া গ্রামের কৃষক মো. সেলিম উদ্দিন।