করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বেড়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সেই কারণে অনেক বাংলাদেশীই এখন দেশে আটকে পড়েছেন। আবার অনেকে দেশেও আসতে পারছেন না।
সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া, ওমান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলানিউজ
করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য গত ১০ মে থেকে থাই ভিসা ইস্যু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের ভিসা রয়েছে তারা আজকের মধ্যে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। আর যাদের ভিসা বহাল আছে, ১৬ মে থেকে সব ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। ১৫ মে’র পর থেকে বাংলাদেশের নাগরিকরা আর থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবেন না।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশসহ আরও তিনটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, কেনিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশীদের জন্য গত ৯ মে থেকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালদ্বীপ। মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল ও ভুটানের ওয়ার্ক ভিসাধারীদের সেদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে গত ১২ মে থেকে।
এদিকে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের গত ২৪ এপ্রিল থেকে ওমানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এ তিন দেশের নাগরিকদের ২৪ এপ্রিল থেকে আর ওমানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের হার বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যা কার্যকর হয়েছে গত ১৬ এপ্রিল।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত ৮ মে থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশী নাগরিকরা বিমানে ট্রানজিটেও মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন না।