টিকায় ভর করে কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশগুলো। সেখানকার প্রাপ্তবয়স্কদের এক-তৃতীয়াংশই টিকা নিয়ে নিয়েছে। কমে এসেছে কোভিড সংক্রমণ। এর প্রেক্ষপটে খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন শহর, নগর, সমুদ্র সৈকত। আশা জেগে উঠেছে এই গ্রীষ্ম স্বাধীনভাবে উপভোগ করার। খবর বিডিনিউজের।
স্পেনে ছয়মাসের দীর্ঘ জরুরি অবস্থার আওতায় জারি থাকা রাত্রিকালীন কারফিউ শনিবার মধ্যরাতে উঠে যাওয়ার পরই রাস্তায় নেমে নেচে গেয়ে আনন্দ-উল্লাস করেছে স্প্যানিশরা। ‘স্বাধীনতা’, ‘স্বাধীনতা’ ধ্বনিতেও স্লোগান দেয় তারা। গ্রীসেও জনসাধারণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হয়েছে সমুদ্র সৈকত। ওদিকে, জার্মানিতে গ্রীষ্মের প্রথম সপ্তাহান্তেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা নতুন আশার সঞ্চার করেছে। দেশটিতে মহামারীর তৃতীয় ঢেউ শেষ পর্যন্ত বাগে আনা গেছে বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যও আগামী অগাস্টের মধ্যে করোনাভাইরাস মুক্ত হওয়ার আশা করছে। দেশটির টিকা টাস্কফোর্সের বিদায়ী প্রধান ক্লাইভ ডিঙ শুক্রবার দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এমন আশার কথা শুনিয়েছেন। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এখন পরবর্তী পদক্ষেপেই লকডাউন এবং মাসের পর মাস আরোপ থাকা নানা কড়াকড়ি শিথিল করতে চলেছেন বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য কোভিড টিকার জন্য আগেভাগেই অর্ডার দেওয়া এবং যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সংক্রমণ দ্রুতই কমে এসেছে। ইইউ দেশগুলোতে সরবরাহ হওয়া ২০ কোটি ডোজ টিকার আওতায় এই গ্রীষ্মের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক পথেই এগুচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিন। প্রথমদিকে ইইউ দেশগুলোতে টিকা সরবরাহে ধীরগতি থাকলেও এখন সেখানে বায়োএনটেক/ফাইজার এবং মডার্নার টিকা তুলনামূলকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণই আছে। ইউরোপীয়দের টিকা নেওয়ার হার বাড়ছে।