জন্মদাত্রী হিসেবে আমাদের সকলের জীবনে মায়ের স্থান সবার উপরে। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাতে কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার আমরা ‘মা দিবস’ পালন করে থাকি। যা শুরু হয়েছিলো ১৯১৪ সালের ৮ই মে থেকে। ‘মাতৃদেব ভব’ অর্থাৎ মা’কে ঈশ্বর জ্ঞানে সেবা করো। মা দেবী স্বরূপিনী, জীবন্ত ঈশ্বরী। আমরা যেকোন দেবী পূজো করি বছরে একবার কারণ দেবী বছরে একবারই মর্তে আসে। কিন্তু মা… যিনি আমাদের তাঁর সর্বশেষ দিয়ে বড় করেন, নিজের ভালো, খারাপ না দেখে সন্তানদের মানুষ করেন, তাঁকে আমরা সবসময় কাছে পেয়েও অবহেলা করি। আমরা ভুলে যাই এই পৃথিবীর আলোতে যা কিছু দেখছি সব মায়ের জন্য। মা’রা তাঁদের সন্তানদের কাছ থেকে কিছু চান না! একটু পাশে গিয়ে বসে খবর নিলেই অনেক খুশি হয়ে যান। বৃদ্ধ হলেও একজন মা তাঁর দশ সন্তানের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে চিন্তা করেন, ভালোবাসেন অথচ চার পাঁচজন সন্তান থাকা সত্ত্বেও আমি অনেক মাকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে দেখেছি। সন্তানের কাছে মা’দের বিশেষ কোন চাহিদা থাকে না। তাঁরা চান একটু হাসিমুখে কথা বলুক, একটু সময় দিক। কিন্তু সেটা বোঝে ক’ জন! যে মা’কে পূজোর জায়গায় স্থান দেবার কথা সে মাকে শেষ সময়ে এসে একাকীত্বে সময় কাটাতে হয় বা বৃদ্ধাশ্রমে! জীবনচক্রের ঘূর্ণন শুরু হয় সেই ভূমিষ্ট হবার পর থেকে। তারপর ছোট থেকে কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব থেকে বার্ধক্য এসে ধরা দেয়, তারপর শেষে মৃত্যু। এই ধ্রুব সত্য সবার জন্য। তাই বলবো মায়ের জন্য কোন আলাদা দিন নয়, প্রতিটি দিন মা’কে সময় দিন, ভালোবাসুন।