চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে গতিশীলতা ও বন্দর অভ্যন্তরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রায় ১০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়ার জন্য বেসরকারি আইসিডিগুলোকে গতকাল চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে ৪০ ও ৪৫ ফুট কন্টেনারগুলো বন্দর ইয়ার্ড থেকে দ্রুত সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য বোঝাই ও খালি মিলে গতকাল প্রায় ৩৮ হাজার কন্টেনার জমা হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে কন্টেনারের বেশ চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর মধ্যে বিপুল সংখ্যক আইসিডিমুখী কন্টেনার রয়েছে। জেটিতে নোঙর করা জাহাজেও রয়েছে আইসিডিমুখী প্রচুর কন্টেনার। এসব কন্টেনার সরিয়ে নিলে ইয়ার্ড পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বন্দর অভ্যন্তরে বেসরকারি আইসিডিমুখী পণ্য বোঝাই কন্টেনার রয়েছে ১১২৫৬ টিইইউএস। এছাড়া জেটিতে থাকা বিভিন্ন জাহাজে ডিপোমুখী কন্টেনার রয়েছে ৩৯৯৪টি টিইইউএস। ডিপোমুখি খালি কন্টেনার রয়েছে ৪৩৯৫ টিইইউএস। এসব কন্টেনারের কারণে ডিপোমুখী কন্টেনারের বিশাল পাহাড় তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ ও ৪৫ ফুট কন্টেনারগুলো বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশনাল কার্যক্রম ব্যাহত করছে। এগুলো সরিয়ে নিলে বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেনার ৩০ হাজার টিইইউএস’র নিচে নেমে আসবে বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেন- আইসিডির কন্টেনারগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে ইয়ার্ডে কন্টেনার হ্যান্ডলিং অনেক সহজ হবে। এ অবস্থায় আইসিডিগুলোকে গতকাল জরুরিপত্র দিয়ে উক্ত ৯৬৪৫ টিইইউএস কন্টেনার জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের টার্মিনাল ম্যানেজার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বন্দরের অপারেশনাল কাজে গতিশীলতা আনতে কন্টেনারগুলো জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। বন্দর অপারেশনাল কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষে জাহাজ হতে কন্টেনার অবতরণের ৪ দিন ফ্রি টাইমের মধ্যে এবং একই বি/এল এর অন্তর্ভুক্ত সকল কন্টেনার একইসাথে যাতে ডিপোতে নেয়া যায় সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বন্দরের ভেসেল অপারেশন, ইয়ার্ড অপারেশনসহ আমদানি কন্টেনার অপারেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিশেষ এ পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।