একটা বছর পেরিয়ে গেল স্কুল বন্ধ। স্কুল ক্যাম্পাসে নেই জাতীয় সঙ্গীতের সুরেলা আওয়াজ। নেই ঘণ্টার শব্দ। ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে লেখার খসখস শব্দ শোনা যায় না। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদানের নেই তোড়জোড়। টিফিনে শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ, মাঠে খেলা, দৌড়ঝাঁপের নেই সেই দৃশ্য। প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু সেই ক্লাসের কয়জনই বা সুযোগ পাচ্ছে বা মনোযোগ দিয়ে করছে। স্বভাবগত কারণে মানুষ ছোট থেকে বড় নিয়মের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। কিন্তু হঠাৎ যখন সে নিয়মে পরিবর্তন আসে তাও আবার দীর্ঘ সময় ধরে তখন সবার মাঝে বিরাজ করে অস্থিরতা, মানসিক অবসাদ, বিষণ্নতা। করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা। কারো একটা বছর নষ্ট হল, কেউ আবার অটোপাস হয়েও এখনো কোথাও ভর্তি হতে পারল না, কেউ আবার এবছর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তাও অজানা। কারো কিছু পরীক্ষা হল আবার কিছু পিছিয়ে গেল। আদৌ এ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা তাও অনিশ্চিত। যদিও বা খুলে সব শিক্ষার্থী আগের মত পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারবে কিনা সেটা ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। শিক্ষার্থীদের জীবনে করোনা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে গেছে। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অবস্থা করুণ। যারা টিউশনি করে লেখাপড়া চালায়, হোস্টেলে থাকে, তারা তাদের পরিবারের কাছে এখন বোঝা হয়ে গেছে। কারণ বেশিরভাগ পরিবারই নিম্ন মধ্যবিত্ত। জানি না শিক্ষার্থীরা কখন এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।