নগরীর উত্তর কাট্টলীতে একটি পুকুরের মধ্যখানে বাঁশ টিনের ঘেরা দিয়ে পুরো ইট সুরকি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, স্থানীয় এনাম পাটোয়ারী নামের এক প্রভাবশালী আশ্চর্য্যপাড়ার সূর্যমুখী পুকুরটি ভরাট করছেন। পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে দ্বৈব দূর্বিচক্র, কিংবা অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর জন্য ওই এলাকায় পানি মিলবে না। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, কোনো পুকুর জলাশয় ভরাট করার সুযোগ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর কাট্টলীর আশ্চর্য্যপাড়ার সূর্যমুখী পুকুরটির মধ্যখানে বাঁশ টিনের প্রতিরক্ষা দেওয়াল তৈরি করে পুরো ইটের সুরকি, বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। পাশে আরও অনেকে সরু আরসিটি খুঁটি পুঁতে সীমানাও তৈরি করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম হলেও ফেনা ও মজা পুকুরটিতে পানি ছিল। তাছাড়া আগে থেকেই যে যার মতো করে চারিদিকে ময়লা আবর্জনা ফেলে পুকুরটি ভরাট করছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনাম পাটোয়ারী নামের ওই ব্যক্তি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘এটি পুকুর নয়, ডোবা। এটির আয়তন ৪-৫ শতক হতে পারে। ডোবাটি ব্যবহার হয় না। পাশের কয়েকজন দোকান ও ভাড়াঘর বাড়ি ডোবাটির পানি কমিয়ে ফেললে আমার বাড়িটি ঝুঁকিতে পড়ে যায়। তাই ভরাট করছি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘পুকুর ভরাটকারী প্রভাবশালী, তাই কেউ মুখ খুলছে না। আগে পুকুরটি পাড়ার সবাই ব্যবহার করতো, গোসল করতো, সাঁতার কাটতো। এরপর ময়লা আবর্জনা ফেলে ফেলে প্রথমে পুকুরটিকে ব্যবহার অনুপযোগী করে ফেলা হয়েছে। আর এখন করা হচ্ছে ভরাট। কিন্তু পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে পাড়ার কোথাও আগুন লাগলে আর কোথাও পানি পাওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, এখন ভরাট করা পুকুরটি পুনরায় খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নূরুল্লাহ নূরী বলেন, ‘উত্তর কাট্টলীতে যেখানে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের টিম পাঠানো হবে। পরিদর্শন রিপোর্ট পাওয়া গেলে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলাসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’