কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ১০টি মিটার গেজ ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এই ১০টি ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সিজিপিওয়াই ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার নিয়ে কমলাপুর আইসিডিতে গেছে। প্রাথমিকভাবে কন্টেইনারবাহী ট্রেনে ট্রায়াল অবস্থায় ইঞ্জিনগুলোতে কোনো ধরনের ত্রুটি পাওয়া যায়নি বলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ইঞ্জিনগুলোর ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। গত বুধবার সবকটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রানের পর ইঞ্জিনগুলো রেলের যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর ইঞ্জিনগুলো যুক্ত হবে রেল বহরে। গত বছর কোরিয়া থেকে ইঞ্জিনগুলো আমদানির প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলক চালানোর পর (ট্রায়াল রান) এখন দ্বিতীয় দফায় ফের ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ পরীক্ষায় চালক ও গার্ড প্রধানত সাতটি সুনির্দিষ্ট ত্রুটি-বিচ্যুতি কিংবা এর বাইরে অন্য কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তা শনাক্ত করেন। তবে কোনো ত্রুটি পাওয়া না যাওয়ায় রিপোর্ট অনুযায়ী গভর্নমেন্ট ইন্সপেকশন অব বাংলাদেশ রেলওয়ের (জিআইবিআর) মাধ্যমে কমিশনিং শেষে রেলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের কাছে এসব ইঞ্জিন সরবরাহ করা হবে বলে জানান যান্ত্রিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত আজাদীকে জানান, কোরিয়া থেকে আমদানি হওয়া লোকোমোটিভ ১০টির (ইঞ্জিন) ট্রায়াল গত বুধবার শেষ হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সিজিপিওয়াই ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার নিয়ে কমলাপুর আইসিডিতে গেছে ১০টি ইঞ্জিন। ইঞ্জিনগুলো কন্টেইনারবাহী ট্রেনে ট্রায়াল রানে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ মে ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ সরবরাহে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ২৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা ব্যয়ে ক্রয় করা ইঞ্জিনগুলো চুক্তির ২৪ মাসের মধ্যে সরবরাহ করার কথা ছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে পৌঁছে ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ।