কয়েকদিন ধরে বজ্রসহ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু বজ্রবৃষ্টি হলেও নদীতে পাহাড়ি ঢল নেই। এখন অপেক্ষা শুধু ভারী বৃষ্টির। তাহলেই পাহাড়ি ঢলের তোড়ে হালদায় ডিম ছাড়বে মা মাছ। নিয়ম অনুসারে, মা মাছ অমাবস্যা, অষ্টমী, পূর্ণিমা তিথি তথা জোতে ডিম ছাড়ে। এখন অষ্টমী তিথির জো চলছে। কিন্তু নদীতে ঢল না থাকায় মা মাছ ডিম ছাড়ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি দেখে নদী থেকে ডিম আহরণকারীরা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। নৌকা, জাল ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। সেই সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর দুই পাড়ে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার অংশে সরকারিভাবে স্থাপিত ডিম ফোটানোর ছয়টি হ্যাচারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইডিআই’র সহয়তায় আধুনিক ১২৮টি মাটির কুয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগেভাগে মাটির কুয়া তৈরি করা হয়েছে।
গত বছর ২২ মে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছিল। তখন রেকর্ড পরিমাণ ডিম পাওয়ায় সরকারি হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেণু উৎপাদন করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল। হ্যাচারিতে মাত্রাতিরিক্ত ডিম থেকে রেণু ফোটাতে গিয়ে অনেক ডিম আহরণকারীর ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার যাতে সেরকম বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয় সেজন্য মাটির কুয়া আগেই প্রসু্তত করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে অগ্রিম রেণু বিক্রির চেষ্টা করছেন।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, যারা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে রেণু বিক্রির জন্য ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তারা কেউ ডিম আহরণকারী কিংবা রেণু উৎপাদনকারী নন। তারা হালদাকে পুঁজি করে অর্থ উপাজনের চেষ্টা করছেন।