স্বামী সন্তান সব আছে। তবুও তাকে বছরের পর বছর দেয়া হচ্ছে বিধবা ভাতা। বিধবা না হয়ে নিয়মিত ভাতা গ্রহণকারী এই নারীর নাম হালিমা বেগম। তিনি রাউজান গহিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কোতোয়ালীঘোনা গ্রামের খুলন মিয়া মাস্টার বাড়ির বেদারুল ইসলামের স্ত্রী। ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ভাতাভোগী বিধবা নারীর তালিকায় ১২নং ক্রমিকে উপকারভোগীর আইডি নং ০২১৫০০৩০৯৭৭’তে রয়েছে হালিমা নাম। তালিকায় তার মা’র নাম ছকিনা খাতুন ও বাবার নাম লেখা আছে মফজল আহমদ। জন্ম সন ১৯৭২।
স্থানীয়রা জানান, হালিমা স্বামীসহ প্রবাসী সন্তানকে নিয়ে মোটামুটি সুখের সংসারে থাকলেও বিধবা ভাতার তালিকায় স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বছরের পর বছর সরকারি ভাতা গ্রহণ আসছেন। ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, বিগত ২০১৯ সালে জরিয়া বেগম এর স্বামী মারা যান। এই নারীকে বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত করার জন্য মেম্বারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা তিনি করেননি। অভিযোগ উঠেছে, একটি সিন্ডিকেট টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল নারীদেরও নাম বিধবা ভাতায় অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আয়ুব খান বলেন, হালিমার স্বামী থাকলেও বিএনপি সরকারের আমল থেকে তিনি ভাতা পাচ্ছেন। সেই সময়ে বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাকে তালিকাভুক্ত করেছেন। এই ঘটনায় তার দায় নেই। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবসার বাশি বলেন, হালিমার স্বামী জীবিত আছে তা তিনি জানতেন না। মেম্বারের সাথে আলাপ করে তিনিও জেনেছেন বিএনপির আমল থেকে হালিমা ভাতা পাচ্ছেন। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলে ওই ভাতাভোগীর নাম বাদ দেওয়া হবে।