মাদারীপুরে পদ্মায় দুই নৌযানের সংঘর্ষে মা-বাবা ও দুই বোনকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শিশু মীম। শিবচর উপজেলা প্রশাসন তেরখাদা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মীমকে তার পরিবারের এই চারজনের মরদেহসহ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
আনুমানিক ৮/৯ বছরের মীম গতকাল সোমবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা থেকে খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বাড়ি যাচ্ছিল। সকালে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার পর ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর বিডিনিউজের। শিবচর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, নিহতদের মধ্যে খুলনার তেরখাদা উপজেলার একটি পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে। ওই বোটে থেকেও বেঁচে গেছে ৮/৯ বছর বয়সী মেয়ে মীম। পরে মীম কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের দোতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিহতদের মধ্য থেকে মা-বাবা ও দুই বোনকে শনাক্ত করে। পরে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশসহ মীমকে তেরখাদা পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সকাল ৭টর দিকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছিল। একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বোটটি উল্টে ডুবে যায়।