মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

নুশিসের সংবাদ সম্মেলন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩ মে, ২০২১ at ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

নুশিস সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম শিক্ষা সমন্বয় তথা ‘নুশিস’ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন খাঁন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বি.এসসি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন পরিচালনায় গঠিত নুরুল ইসলাম শিক্ষা সমন্বয় তথা ‘নুশিস’ যেখানে বর্তমানে ১২শ’ শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত এবং প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেকটি স্কুল নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত। তিনি গত ২৪ মার্চ হাতিয়াখোলা সানোয়ারা ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতক জমি সরকারকে দান করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন খাঁন আরো বলেন, ‘আমাদের নুশিস সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান একজন শিল্পপতি, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য। তিনি চান্দগাঁও থানার প্রাণকেন্দ্রে গোলাম আলী নাজীর বাড়ী সড়ক সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হাজেরা-তজু স্কুল এন্ড কলেজ ও চিটাগাং কিন্ডার গার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই ২টি প্রতিষ্ঠানও নুশিসভূক্ত। গত ১৯ এপ্রিল স্থানীয় শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হাজেরা তজু স্কুল এন্ড কলেজের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। অতঃপর স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে অফিসকক্ষ, স্কুল ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে করে সেখানে রক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র ও শিক্ষা উপকরণের বর্ণনাতীত ক্ষতি সাধিত হয়। অথচ শাহেদুল ইসলামসহ তার ভাই-বোনরা নুশিসভূক্ত প্রতিষ্ঠান সানোয়ারা বালক উচ্চ বিদ্যালয়, নুরুল ইসলাম পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ বিনা ফিতে লেখাপড়া করেছেন। গত ১৯ এপ্রিল হাজেরা তজু স্কুল এন্ড কলেজে হামলার ঘটনায় চান্দাগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে অনেক গড়িমসির পর ২০ এপ্রিল মামলা গ্রহণ করা হয়। অথচ নুশিস সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানকে ১ নম্বর বিবাদী করে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কিভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। এদিকে নুশিস সভাপতি মুজিবুর রহমানকে দখলবাজ বা চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে গত ২৯ এপ্রিল যে জমি দখল করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তাও ‘মিথ্যা’। এমনকি শাহেদুল ইসলাম গংদের একাধিকবার বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালেও তারা তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বৈঠকে না বসে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বিষয়টি জমি সংক্রান্ত নয় বরং রাজনৈতিকভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ও তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা মাত্র।’ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন খাঁন একই সাথে চান্দগাঁও থানার ভূমিকাকে রহস্যজনক বলে উল্লেখ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচৈতন্যগলি কবরস্থানের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা
পরবর্তী নিবন্ধকুরিয়ার সার্ভিস থেকে ২৫ লাখ টাকার অবৈধ জর্দা জব্দ