চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে এর আগেও একাধিক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। সংঘর্ষে জড়িত দুই গ্রুপের একটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং অপর পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সমপ্রতি ছাত্রাবাসে সংর্ঘষের ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয় চমেক প্রশাসন। এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের আদেশে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর চমেক ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের সংঘটিত সংঘর্ষের আগে-পরে মিছিল-স্লোগানে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে একটি পক্ষ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজনৈতিক মিছিল-স্লোগানে অংশ নেয়া ছাত্রদের চিহ্নিত করে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চমেক প্রশাসন। গতকাল দুপুরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহেনা আক্তার একাডেমিক কাউন্সিলের এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
এ সিদ্ধান্তের তথ্য আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহেনা আক্তার। তিনি বলেন- এটা আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া ছিল। ক্যাম্পাসে কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং মিছিল-সমাবেশ করা যাবেনা। কিন্তু আমরা ভিডিও ফুটেজে দেখেছি, মঙ্গলবার একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে মিছিল-স্লোগান দিয়েছে। যেসব ছাত্র নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল-স্লোগানে অংশ নিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শোকজ করা হবে। এছাড়া ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যারা ছাড়েনি, বুধবার (গতকাল) তাদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানান চমেক অধ্যক্ষ।
এদিকে, ছাত্রদের দুই পক্ষের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ-মারামারির ঘটনায় কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলে উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি সুরাহা খুঁজে বের করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। দুই পক্ষের এই বিবাদ থামাতে ইনফ্লুয়েনসিয়াল ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকের প্রস্তাব দেন একাধিক শিক্ষক। বিশেষ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে এ নিয়ে বৈঠকের প্রস্তাবনা উঠে আসে বৈঠকে। এ বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহেনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমরা আলোচনায় রেখেছি। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সময়-সুযোগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান চমেক অধ্যক্ষ।