জামদানি নিয়ে আমার স্বপ্ন

প্রেমা চক্রবর্তী | বুধবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নব্বই দশকে খুব জনপ্রিয় একটি বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন ছিলো, ‘মাছের রাজা ইলিশ, বাত্তির রাজা ফিলিপস’। মুখে মুখে এই কথাটা শোনা যেত তখন। সেই একই সুরে যদি বলা হয়, ‘শাড়ির রাণী জামদানি’ তবে একেবারেই বাড়িয়ে বলা হবে না বা ভুল বলাও হবে না। বাঙালি নারী মাত্রই শাড়ির প্রতি রয়েছে অন্যরকম এক টান, ভালোবাসা। জামদানী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমার তাই অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো জামদানী নিয়ে কিছু করার। আর আমার হাসব্যান্ড এর ব্যাংকের পোস্টিং নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ (যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানী পল্লী) হওয়ায় সে ইচ্ছা পূরণ খুব সহজ হয়ে গেল! জামদানী পল্লীর তাঁতীরা আমার হাসব্যান্ড এর ব্যাংকের কাস্টমার তাই আমরা একদম নিজস্ব তাঁতীদের মাধ্যমে জামদানী বুনন করে আনার সুযোগ পাচ্ছি। আর কাছ থেকে দেখলাম একটি জামদানী বুনতে একজন তাঁতীকে যে শ্রম দিতে হয় তাঁতী দের সেই শ্রমের মূল্য আসলে আমরা তেমন দিতেই পারিনা। তবুও তারা কি সুনিপুণ হাতে বুনে চলে একেকটি শাড়ি। মনের মাধুরী মিশিয়ে এতে রং ঢালে। কিন্তু সত্যি করে বলছি দেশীয় পণ্য হিসেবে আপনার সংগ্রহে অবশ্যই জামদানী থাকা উচিত। জামদানী পড়লেই মনের মাঝে অন্য রকম একটা অনুভূতি চলে আসে। নিজেকে রাণী রাণী মনে হয়।
সূতার কাউণ্ট অনুযায়ী জামদানির দামের তারতম্য হয়। মিহি রেশমি সুতার বুনা শাড়িগুলোর সুতার কাউণ্ট যদি বেশি হয় তাহলে এর দাম একটু বেশি হয়। দাম কম বা বেশি যাই হোক না কেন জামদানী যারা পরেন তারা সবাই বুঝেন এর কদর কতটুকু। জামদানি নিয়ে আমার স্বপ্ন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাক আমাদের দেশের এই ঐতিহ্য। আমি চাই জামদানি আমার কোন আলাদা পণ্য নয়। জামদানি আমাদের, আমার, বাংলাদেশের। তাই সারা দুনিয়ায় এর গৌরব ছড়িয়ে দিতে চাই আমি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএদেশের মানুষের হুঁশ হবে কবে
পরবর্তী নিবন্ধঅনলাইন কেনাকাটা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট