যা করেছি করপোরেশনের আয়ের খাত মজবুত করার জন্যই করেছি

সুজনের বক্তব্য ।। আমার সময়ে জায়গা বরাদ্দে নিয়ম-নীতির কোনো ব্যত্যয় হয়নি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজের অভিমত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুজন বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রশাসক থাকাকালীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জায়গা বরাদ্দে কোন অনিয়ম হয়েছে কি-না তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়রের এ উদ্যোগকে আমি সর্বান্তকরণে স্বাগত জানাই। সিটি কর্পোরেশনের সে এখতিয়ার রয়েছে। প্রত্যেক কিছুর মধ্যে একটা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা থাকা অত্যাবশ্যক। খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি সম্পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আমার সময়কালীন সিটি কর্পোরেশনের জায়গা বরাদ্দের নিয়ম-নীতির কোনো ব্যত্যয় হয়নি। বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যারা সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছে, তারাই বরাদ্দ পেয়েছে। যা করেছি কর্পোরেশনের আয়ের খাতকে মজবুত করার জন্যই করেছি। এরপরও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে যদি কর্পোরেশন মনে করে, কোনোটাতে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে, তাহলে কর্পোরেশন চাইলে তা বাতিল করতে পারে।
সাবেক এ প্রশাসক বলেন, ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই শহরকে একটি জঞ্জালমুক্ত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এবং মানবিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের জীবনের লব্ধকৃত জ্ঞানকে কাজে লাগাই। কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে জানতে পারি সংস্থাটির আয় খুবই সীমিত। যা দিয়ে কর্পোরেশনের নিজস্ব ব্যয় নির্বাহ করাটাই কঠিন। কর্পোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে থাকি। আমি জানতে পারি কর্পোরেশনের বিভিন্ন জায়গা-সম্পত্তি বিভিন্নজনে লুটপুটে খাচ্ছে। অনেক জায়গার কোনো হদিস ছিল না, কর্পোরেশনের রেকর্ডপত্রেও ছিল না। আমি খুঁজে বের করে জায়গাগুলোকে কর্পোরেশনের সব নিয়মনীতি মেনে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্বল্প মেয়াদের জন্য ইজারা দিয়েছি। কর্পোরেশনের বেহাত জায়গা উদ্ধার এবং অ-রাজস্ব খাতের জায়গাকে রাজস্ব খাতে এনে আয় বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে মানুষের জীবন ও মৃত্যুর যে লড়াই চলছে তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে জনগণের জন্য কাজ করাটাই হচ্ছে এখন মুখ্য। এখন সময় হিংসা বিদ্বেষের নয়, এখন সময় শুধুই মানুষের পাশে থাকার।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের অপপ্রচার কিংবা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমাকে চট্টগ্রামবাসীর কাছ থেকে কেউ দূরে রাখতে পারবে না। শেষে সিটি কর্পোরেশনের মঙ্গল এবং উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি। আশা করি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতীতের চেয়ে আরো গতিশীল হয়ে নগরবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলকডাউন বাড়ল আরো এক সপ্তাহ
পরবর্তী নিবন্ধদুই কিশোর গ্যাংয়ে বিরোধ, প্রাণ গেল একজনের