গ্রামের যুবক জহির নিজেকে নায়ক ভাবে। নাম পাল্টে রাখে শাকিব খান। এ নিয়ে জহিরের বাবা তার উপর খুব বিরক্ত। একই গ্রামের মেয়ে কবরীর সঙ্গে জহিরের প্রেমের সম্পর্ক। অন্যদিকে, কবরীর ফুপুর সঙ্গে আগে শাকিব খানের বাবার প্রেম ছিল। কবরীর বাবা বিদেশে থাকে, তাই ফুপুই তাদের দুই বোনের দেখাশোনা করে। কবরী বেশি সাজগোজ করে বলে গ্রামের সবাই তাকে ‘ময়দা সুন্দরী’ ডাকে। কবরীর ফুপু তার বিয়ের জন্য পাত্রের সন্ধান করে। একদিন তাকে দেখতে আসে বোকাসোকা এক পাত্র। কিন্তু কবরী সাজগোজের উসিলায় পাত্রপক্ষকে বিকাল পর্যন্ত বসিয়ে রেখেও দেখা দেয় না। এদিকে ছেলে কবরীকে না দেখেই বিয়ে করতে রাজি। কবরী এবার বিয়ে ভাঙ্গার জন্য বলে যে, সে ছেলেদের বাড়িতে গিয়ে ছেলে এবং তাদের বাড়িঘর দেখবে। ছেলের বাবা তাতেও রাজি হয়।
এদিকে কবরীর বিয়ের কথা শুনে ছেলে পক্ষের উপর আক্রমন করে তার প্রেমিক জহির। এতে ক্ষেপে যায় কবরী। পরদিন ছেলের বাড়িতে গিয়ে জানায়, সে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। সুজিত বিশ্বাসের লেখা এমনই মজার গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘ময়দা সুন্দরী’। পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা নিহাজ খান। এর প্রধান চরিত্র ময়দাসুন্দরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী উর্মিলা শ্রাবন্তী কর। তার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফ হাসান। হবু বরের চরিত্রে রয়েছেন মাইমশিল্পী নিথর মাহবুব। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন সোহেল খান, শবনম পারভিন, অনুভব মাহবুব, লিজা খানম, মোহসীন রনি, মৌমিতা, ফয়সাল, মিথিলা, মুক্তা নূপূর প্রমুখ। ‘ময়াদা সুন্দরী’ একটি সাত পর্বের ধারাবাহিক। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে নাটকটি।