আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিজ্ঞা করি

প্রতিমা দাশ | সোমবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

শপিং মল খুলে দিক, কিন্তু আমাদের বেরোনো একদম বন্ধ করে দিতে হবে। যদি টুকটাক সামান্য কেনাকাটা করতে হয় তাহলে সেটা অনলাইন কিংবা যেখানে ১০ জনের বেশি মানুষ নেই সেখান থেকে কিনে নিলে ভালো হবে। সামনে যেহেতু আমাদের ঈদের উৎসব, তাই এবছর আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশীর বাড়ি যাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং এই সময় নিজের বাড়িতেও আমন্ত্রণ জানানো বন্ধ করতে হবে। ঈদ মোবারক, ঈদের শুভেচ্ছা দিতে হলে মোবাইলে ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমরা শুভেচ্ছা জানাবো। যেখানে ভিড় বেশি বা কুড়ি জনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, হোক সেটা শপিং মল বা ধর্মীয় স্থান। ঘরে যা আছে স্বাভাবিক খাবার খেয়ে দিন কাটিয়ে দেবো, বিরিয়ানি রান্না করার জন্য মশলাপাতি কিনতে না বেরোননোই দরকার। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ভালো খাবার রান্না করে খাওয়া যাবে। বেশিরভাগ রিক্সাওয়ালা কিংবা শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে এই কথাটা বেশি বলতে শোনা যায়, আমি একা কেন মানবো? অনেকেই তো মানছে না”-এই মানসিকতা থেকে তাদের বের করে আনতে হবে। যখনই তাদের পরিবহন ব্যবহার করব তাদেরকে এটাই বুঝাতে হবে, আপনার মাধ্যমে যদি একজনও করোনা আক্রান্ত হয় সে হবে কারো মা-বাবা ভাই-বোন স্বামী, স্ত্রী, অথবা সন্তান। আপনার মাধ্যমে আপনি কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? আমাদের পরিবারের মধ্যে বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের ব্লাডপ্রেসার, ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ, কিডনি সমস্যা, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে তাদেরকে এই সময় খুব সাবধানে রাখতে হবে কারণ করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদের মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আসুন আমরা সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে প্রতিজ্ঞা করি, ইউরোপ যা পারেনি আমরা গরিব রাষ্ট্র হয়েও সেটা পেরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিকাশ চৌধুরী বড়ুয়ার কলামে তথ্য ও পর্যালোচনাগত অপরিপক্বতা
পরবর্তী নিবন্ধঅব্যক্ত বিলাস