চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভা ও ১৯০ ইউনিয়ন পরিষদ বরাদ্দ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। জেলায় দুস্থ-অসহায়দের জন্য পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিটি পৌরসভায় ৮ লাখ এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ভিজিএফ (ভার্নারেবল গ্রুপ ফিডিং) প্রকল্পের আওতায় সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে দুস্থ হতদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ১৯০টি ইউনিয়ন রয়েছে। পৌরসভা রয়েছে ১৫টি। এই ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান আজাদীকে জানান, চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রত্যেক ইউনিয়নে আড়াই লাখ (দুই লাখ ৫০ হাজার) এবং প্রতিটি পৌরসভায় ৮ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের মাঝে নগদ ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হবে। রোববার (আগামীকাল) থেকে আমরা বিতরণ শুরু করব। একেকদিন একেক উপজেলায় বিতরণ করা হবে।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস. এম. জাকারিয়া আজাদীকে জানান, ভিজিএফ (ভার্নারেবল গ্রুপ ফিডিং) প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেওয়া হলেও এটা প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আগে এই প্রকল্পের অধীনে চাল দেয়া হতো। এখন সরাসরি টাকা দেয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে চলমান বিধি-নিষেধের জন্য কর্মহীন হয়ে পড়া গরিব-দুঃস্থ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার প্রদান করে পৌর মেয়র, ও ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে এই বরাদ্দের অর্থ বিতরণের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, এটা রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে দেয়া হলেও ঈদের আগে গরিব-আসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে মোবাইলের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে প্রধারমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করা হবে।
এটা সরাসরি বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে প্রত্যেক তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। গতবার এই তালিকা নিয়ে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার এবার কঠোর পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। যাতে যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের জন্য বিবেচিত হবেন তিনি যেন সরাসরি তার মোবাইলে টাকা পেয়ে যান।