মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া দইয়ের স্টিকার তুলে আবার বিক্রির জন্য রাখা, অননুমোদিত রং ও সোডিয়াম হাইড্রো সালফাইড বা হাইড্রোজ সংরক্ষণ করায় মালতি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়মিত বাজার তদারকিকালে এ জরিমানা করা হয়েছে।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, “এ সময় ১২ কেজি দই, ১৫ কেজি বাসন্তী ও খুনি রং ও ৫ কেজি হাইড্রোজ ধ্বংস করা হয়। দোকান মালিক বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় এসব রং ও রাসায়নিক বিক্রির জন্য রাখার কথা স্বীকার করেছেন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে।”
তিনি বলেন, “কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার মেসার্স আফতাব অ্যান্ড সন্সকে অননুমোদিত রং রাখায় ও মূল্য তালিকা না রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৫০০ গ্রাম রং ধ্বংস করা হয়। বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড়ের ওয়াফি স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ আটা ধ্বংস করা হয়েছে। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় অক্সিজেন মোড়ের নাহিদা পোলট্রি ফার্মকে ৩ হাজার টাকা, নয়াহাটের ইসলাম সওদাগরের মাংসের দোকানকে ২ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ্ পোলট্রিকে ৩ হাজার টাকা এবং মোশতাকের মাংসের দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। ফারুক ইলেক্ট্রনিক্সকে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি সরকার নির্ধারিত ৯৭৫ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার টাকা দাবি করায় ১ হাজার জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।”
অভিযানকালে বিক্রেতাদের মাস্ক পরতে, ক্রেতাদের মাস্ক পরার পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় এবং প্রতারিত হলে অধিদফতরের হটলাইনে (নম্বর ১৬১২১) অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়।