উত্তাপ ছড়ানো শেষে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের আগের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করে বেড়ে যায় সবজির দাম। সে সময় প্রতি কেজি সবজির দাম ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ে। তবে গতকাল থেকে প্রায় সব সবজির দাম ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা কমে গেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের আগে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে একসাথে বেশি পরিমাণে সবজি কিনেছেন, যার প্রভাবে সবজির দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে সবজির সরবরাহে ঘাটতি নেই। লকডাউনের মধ্যেও স্বাভাবিক আছে সবজির পরিবহন ব্যবস্থা। তবে স্থানীয় বিভিন্ন উপজেলা থেকে সবজি আসা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বরবটির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া শিমের কেজি ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা এবং মুলার কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। অন্যদিকে ঢেঁড়শ ও চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেগুনের কেজি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, কাঁচা মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা এবং পাঁকা মিষ্টি কুমড়া ১০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে আগের দরে অর্থাৎ ৩০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে কাকরল কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ১২০ টাকা, আলু ৩ টাকা কমে ২২ টাকা এবং বাঁধাকপি ২০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া তিতা করলা ১০ টাকা কমে গিয়ে ৭০ টাকা, কচুর লতি ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা এবং পটল কেজিতে ২০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৬০ টাকায় এবং কাঁচা পেঁপের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকায়। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং গাজরের কেজি ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, লকডাউনের আগে সবজির দাম বেড়ে যায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে বেড়ে যাওয়া সবজির দাম আবারও কমে যাচ্ছে। লকডাউনের খবর শুনে অনেক ক্রেতা হুড়োহুড়ি করে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবজি কিনেছেন। যার কারণে সবজির বাজারে ক্রেতা কমার পাশাপাশি দামও কমে যাচ্ছে।
চাকরিজীবী মোহাম্মদ মোজাহের মিয়া জানান, সবজির দাম যা বাড়ার কিন্তু আগেই বেড়েই গেছে। বাজারে সব ধরণের সবজির দাম ৫০ টাকার বেশি। এটি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর জন্য বাড়তি চাপ। প্রশাসন মাঝে মাঝে নিয়ম রক্ষার অভিযান চালিয়ে পরে আবার চুপ হয়ে যায়। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের পকেট কাটায় ব্যস্ত থাকে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাবো, রমজানে মাসে যেন বাজার মনিটরিংটা নিয়মিত করা হয়।