বহমান সময়

ফজলুল হক | সোমবার , ১৯ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

যে স্মৃতি যায় না ভোলা
আমার একজন ঘনিষ্ঠ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, আমি তা জানতাম না। টেলিফোনের শব্দ শুনে টেলিফোন ধরতেই কান্নাজড়িত কন্ঠে ঐ লোক বললেন, আমাকে সাহায্য করো, আমাকে করোনামুক্ত করো। উনার টেলিফোন সেটটি সম্ভবত হাত থেকে ফ্লোরে পড়ে গেছে এমন একটি শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণের মধ্যে উনার স্ত্রী ফোন তুলে কান্না করতে থাকেন এবং আমাকে বলেন হাসপাতালে উনার স্বামীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার ঐ আপন লোকটি কোমরের ব্যথা নিয়ে কয়েকমাস ধরে বাসায় শুয়ে ছিলেন। ঐ অবস্থায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। সে রাতে ভদ্রলোক মারা যান। পরিবার প্রধানের মৃত্যুতে ঐ ভদ্রমহিলার স্বপ্ন তছনছ হয়ে যেতে বসেছে। আমি নিজেও অসুস্থ। উনাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। এই করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারবে তার কোন উপায় নেই। চারিদিকে আমাদের পরিচিত লোকজন হাসপাতালে বা নিজের বাড়িতে মারা যাচ্ছে। আমি আমার দীর্ঘ জীবনে এমন পরিস্থিতি দেখি নাই যে, মানুষ-মানুষকে সাহায্য করতে পারছে না।
তবে আমার বিবেচনায় দুই শ্রেণীর মানুষ আছেন, যারা অন্যের উপকার করার জন্য নিজে ত্যাগ স্বীকার করেন। ১) রাজনীতিবিদ ২) চিকিৎসক। করোনার এই মহামারীর মধ্যে সাংবাদিক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রায় সকল পেশার মানুষ জীবন এবং জীবিকাকে রক্ষা করতে করোনার সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। রাজনৈতিক নেতা এবং চিকিৎসকগণ পুরোপুরি সক্রিয় না থাকলে এই যুদ্ধে লড়াই করে যাওয়া কঠিন হতে পারে। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদরা সবসময় দুস্থ, অসুস্থ মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকতে পারে তবে তা খুবই নগণ্য। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন করোনায় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা মারা যাচ্ছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার কয়েক মাস আগে আমি একদিন আমার বাসায় মাথা ঘুরে পড়ে যাই। তাতে আমার মাথার সামনের দিকে এবং চোখে আঘাত পাই। চক্ষু হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তারা আমাকে ভারতের দুটি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার একটি কলকাতায় অন্যটি হায়দ্রাবাদে। আমাকে দ্রুত প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল এবং তখন আমি চোখে কিছুই দেখতে পারছিলাম না। আমার পক্ষে ভিসার জন্য এ্যাম্বেসীতে যাওয়াও সম্ভব ছিলো না। তখন এ খবর শুনে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন নিজে এ্যাম্বেসীতে গিয়ে আমার ভিসার ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথাবার্তা বলেন। তৎকালীন সময়ে ভিসার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সিনহা ফোন করে আমাকে এ খবর জানিয়েছিলেন। আমি আমার আঘাতজনিত অসুস্থতার কথা ডা. আফছারুল আমীন এমপিকে টেলিফোনে জানাই। তিনিও এ্যাম্বেসীতে ফোন করেছিলেন এবং খুলশী থানার ওসি প্রণবকে টেলিফোনে আমাকে সহায়তা করার অনুরোধ জানান। প্রণব ২০০৭ সালে আমাদের এলাকা বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার ছিল। তখন থেকে প্রণব আমাকে শ্রদ্ধা করতো। চীনের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার দুই তিন মাস আগে আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে পেরেছিলাম এবং করোনার শুরুতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার চেকআপ করানোর জন্য যাই। কিন্তু এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে আমি করোনার ভয়ে শেভরন চক্ষু হাসপাতালেও যেতে ভয় পাচ্ছি। করোনাভাইরাস মানুষকে একজনের কাছ থেকে আরেকজনকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। কেউ চাইলেও কাউকে সাহায্য করতে পারছে না।
রাজনৈতিক নেতারা তাদের সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের অসুস্থতায় কিভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তা আমি দেখেছি মহিউদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে। উনি মেয়র থাকার সময় আমি সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগে বছর খানেক প্রেষণে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছি। একদিন রাত্রে দেখি মহিউদ্দিন তাড়াহুড়ো করে সিটি কর্পোরেশন অফিস থেকে বাসায় চলে যাচ্ছেন। আমাকে টেনে উনার গাড়িতে তুললেন। বাসায় গিয়ে ড্রইংরুমে বসে থাকা দর্শনার্থীদের সাথে কথা না বলে বেডরুমে ঢুকে গেলেন এবং কার্পেটের উপরে বসে পড়লেন। আমাকেও বসতে বললেন। আমি বললাম কি হয়েছে? উনি বললেন তুমি কি জানো, আমাদের বন্ধু আবু ইউসুফ আলম অসুস্থ? আমি বললাম আবু ইউসুফ তো দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। মহিউদ্দিন বললেন, সে (আবু ইউসুফ আলম) আমার উপর রেগে গিয়েছে। আমি নাকি তার জন্য কিছুই করছি না। আমি তাকে কলকাতা পাঠাতে চাই। তখন আবু ইউসুফ আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি। উনার জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরী কি করেছিলেন সেটা অনেকেই জানে। ২০০৬ সালে আমি দেবী শেঠির হাসপাতাল নারায়ণা হৃদয়ালয়ে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আপনারা জানেন মহিউদ্দিন চৌধুরী কারো ব্যাপারে কোন লিখিত সুপারিশ করেন না। তিনি আমাকে বললেন তোমার ভিসা নিতে যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য সহকারী হাই কমিশনারের কাছে আমার একটি ডিও লেটার নিয়ে যাও। আমি বললাম ঠিক আছে নিবো। কিন্তু আমি বিব্রতবোধ করছিলাম কারণ তৎকালীন সহকারী হাই কমিশনারের সাথে আমার ভালো ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো। তো আমি একদিন ভারতীয় এ্যাম্বেসীতে গিয়ে বিষয়টা সহকারী হাই কমিশনারকে বললাম। উনি তো আমাকে ভিসা দিলেন তার সাথে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস দেন। তখন আমি সরকারি হাজী মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ। আমি সহকারী হাই কমিশনারকে বললাম মহিউদ্দিন ভাই একটা ডিও লেটার দিয়েছেন আপনাকে সেটি আমি দিইনাই শুনলে উনি মনে কষ্ট পাবেন। তিনি মৃদু হেসে ডিও লেটারটি হাতে নিলেন। বললেন উনি সত্যিই একজন ভালো রাজনীতিবিদ। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, মহিউদ্দিন আমাকে যখনই দেখেন, জিগ্যেস করেন, ব্যাঙ্গালোর যাওয়ার টিকেট কিনেছো? যাওয়ার আগে তুমি অবশ্যই আমার কাছ থেকে দেবী শেঠির জন্য চিঠি নিয়ে যাবে। আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে চিঠি নিয়েছিলাম কিন্তু সকাল সাড়ে ৮টায় এপয়েন্টমেন্ট করেও আমি দেবী শেঠির সাক্ষাত পেয়েছিলাম বিকাল ৫টায়। আমার সাথে পাকিস্তানের সাঈদা নামের এক মহিলা রোগীসহ শ্রীলংকা এবং নেপালের আরো দুইজন রোগী ছিলো। উনাদেরকেও বসিয়ে রেখেছিলেন কারণ কোন শিশু অথবা ছোট বাচ্চা রোগী গেলে তারা অগ্রাধিকার পায়। দেবী শেঠি আমাকে অনেকক্ষণ দেখার পর উনার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরের দিন এনজিওগ্রাম করাতে বলেন। তারপর চট্টগ্রামের বিষয়ে আধাঘণ্টার উপরে কথা বলেন। পুরো আলোচনাটাই ছিলো মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে। আমি দেবী শেঠির মহিউদ্দিন সংক্রান্ত মন্তব্যগুলো শুনে অভির্ভূত হয়েছিলাম। মহিউদ্দিন চৌধুরী সবসময় অসুস্থ মানুষকে সহায়তা করার জন্য নিজে থেকে হাত বাড়িয়ে দিতেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে অসুস্থতা নিয়ে আজ আমাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিঃসঙ্গ সময় কাটাতে হতো না। চট্টগ্রামের করোনা আক্রান্তদের জন্যও তিনি কিছু একটা করতেন।
চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে বলি, ডা. রেজাউল করিম এক সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের রেসিডেন্স সার্জন ছিলেন এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি পলি ক্লিনিক এবং পরবর্তীতে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে রোগী দেখতেন। শেভরন, ডক্টরস ল্যাবসহ অনেক হাসপাতালে তিনি ইকোকার্ডিওগ্রাম করতেন। আমি উনাকে দেখানোর জন্য পলি ক্লিনিকে এবং পরবর্তীতে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে যেতাম। আমি দুপুর ১২টার দিকে উনার চেম্বারে গেলে উনি আমাকে একপাশে বসিয়ে রাখতেন। কিছুক্ষণ পর রোগী দেখায় বিরতি দিতেন। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজার মেখে আমার দিকে ফিরে হা হা করে একটা হাসি দিতেন। তারপর বলতেন, বদ্দারে মইরতাম দিইয়ুমনা? তারপর বাসা থেকে আনা নাস্তার প্যাকেট বের করে আমাকে নাস্তা খাওয়াতেন, উনিও নাস্তা খেতেন। তারপর উনি উনার গ্রামে মসজিদ বানানো, স্কুল বানানোসহ উনার উন্নয়নমূলক কাজের বর্ণনা দিতেন। আমাকে বিভিন্ন রকমের উপহার দিতেন। উনি যতদিন জীবিত ছিলেন শুধু হার্টের রোগ নয়, দাঁতের রোগ, কানের রোগ, চোখের রোগের জন্যও আমি উনার কাছে যেতাম। ২০১০ সালে আমি ঢাকায় বাইপাস সার্জারি করিয়েছি। বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছিলেন উনি। ২০১২ সালে একদিন আমি উনাকে বললাম যে আমি চোখে ঝাপসা দেখতেছি। উনি বললেন আপনি এক্ষুণি ডা. শামীমের কাছে যান। আমি অবাক হলাম এখন আমাকে ডা. শামীম দেখবেন নাকি? উনি বললেন যে একটু অপেক্ষা করেন, তিনি শামীমকে ফোন করলেন। তারপর আমাকে বললেন যে আপনি এক্ষুণি শামীমের চেম্বারে যান। গাড়ি না থাকলে আমার গাড়ি নিয়ে যান। আমি অবাক হয়ে দেখলাম আমি যাওয়ার সাথে সাথেই ডা. শামীম আমাকে ভিতরে ডেকে নিলেন। তখন বাহিরে ৫০ জনের মতো রোগী অপেক্ষমান। বললেন ডা. রেজাউল করিম আমার স্যার, আপনি আমার বড় ভাই। উনি আমাকে দেখে সিদ্ধান্ত দিলেন আমার কর্ণিয়াতে সার্জারি দরকার এবং ভারতের কোন একটি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বললেন। চক্ষু হাসপাতালের কর্ণিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. সুমেত দেওয়ানও একই কথা বললেন। আমি মাদ্রাজের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। এবার ই-মেইলে হায়দ্রাবাদের এল.ভি.প্রসাদ হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করি। এ হাসপাতালের কর্ণিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সোমাশিলা মুর্তি আমার সার্জারি করেন। তার মধ্যে দক্ষতার পাশাপাশি একটি অহংকারমুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি আমি লক্ষ্য করেছি। দু’টি ঘটনা বলি ১) আমার নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে একটি টিস্যু ম্যাচিংয়ের কেইস ছিলো। আমি লাউঞ্জে বসে থাকতাম ম্যাচিং না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই আমার কাজ ছিলো। এভাবে বসে থাকতে থাকতে একদিন আমি উনার কক্ষে গিয়ে উনার খোঁজ করি। কিন্তু তিনি তখন অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন। আমি লাউঞ্জে ফিরে আসি। অনেকক্ষণ পর আমি দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য কেন্টিনে যাই। ফিরে আসলে অন্যান্য রোগীরা আমাকে বলে আর ইউ প্যাসেন্ট অফ ডা. সোমা? আমি বললাম ইয়েস। তারা বললো শী কেম হেয়ার এন্ড আসকিং এবাউট ইউ। পৃথিবীর নামকরা চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একজন এই ডা. সোমা, লাউঞ্জে এসে একজন রোগীকে খুঁজছেন তা আপনাদের বিশ্বাস হয়? ২) ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি হায়দ্রাবাদের এল.ভি.প্রসাদে গিয়েছি এবং ডা. সোমা আমাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। আমি উনাদের যান্ত্রিক চেয়ার থেকে নেমে দাঁড়িয়েছি, উনি বললেন ইউ নীড হুইল চেয়ার সাপোর্ট? আমি বললাম ইয়েস। উনি একটা গুটিয়ে নেওয়া হুইল চেয়ার খুলে আমাকে বললেন সিট হেয়ার। আমি বসলাম এবং পা দুটি ফ্লোরে রাখলাম। ডা. সোমা মাথা নীচু করে হুইল চেয়ারের পাদানি দুটি নামিয়ে দিলেন। আমার পা পাদানির উপরে উঠিয়ে দিলেন। আশেপাশে যারা ছিলো সবাই হতবাক। আমার জন্য এটি একটি বিরল ঘটনা। এ রকমের ঘটনা আমি মাদ্রাজের ডা.এস.এস.বদরিনাথ, ডা. তরুণ শর্মার ব্যাপারেও বলতে পারবো। শেভরন চক্ষু হাসপাতালের ডা. করিম, ফয়েসলেক চক্ষু হাসপাতালের ডা. সুজিত উনারা মানবতাবাদী ডাক্তার। আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক ভালো ও মানবদরদী ডাক্তার আছেন যাদের কথা বলে আমি শেষ করতে পারবো না। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসক ও নার্সগণকে আল্লাহ শক্তি সামর্থ্য দিন, তাদের রহমত করুন যাতে তারা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে। করোনাযুদ্ধে লড়াইরত সকল ফ্রন্টলাইনারদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। এটা ভুললে চলবে না যে, কোভিড, ননকোভিড সকল রোগীর জন্য সরকারের এবং চিকিৎসকদের সহানুভূতি দরকার।
লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, কলামিস্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনার দ্বিতীয় ঢেউ-সুরাহা এম.টি.টি.টি.ভি ব্যবস্থাপত্রে
পরবর্তী নিবন্ধকল্পিত কণিকা ও মৃত্যুছোবল